প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৬০ থেকে ২৭৫ টাকা। পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা লাভ করছেন কেজিতে ৮৩ টাকা পর্যন্ত। অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে গতকাল শ্যামবাজারের পাঁচ পাইকারকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, মিসর থেকে কার্গো বিমানযোগে আমদানিকৃত পেঁয়াজের প্রথম চালান আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবে। এস আলম গ্রুপ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে, এটি তার প্রথম চালান। পর্যায়ক্রমে অন্য আমদানিকারকদের আনা পেঁয়াজ কার্গো উড়োজাহাজযোগে ঢাকায় পৌঁছাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে। কার্গো বিমান ভাড়া করে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। কাল-পরশু পেঁয়াজ এলে দাম কমে যাবে। এরই মধ্যে কেজিতে ১০ টাকা কমার খবর এসেছে ঢাকার মোকামে পেঁয়াজ সরবরাহকারী পাবনার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। বাজারে সরবরাহ বেড়েছে নতুন গাছ পেঁয়াজের।
দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। এ কারণে তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও অনেক বিক্রেতাকেই দোকান গুটিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে। খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা সোলায়মান গতকাল বলেন, এক কেজি পেঁয়াজের দাম ২৭০ টাকা। এটাই এখনকার বাস্তব চিত্র। ২৭০ টাকা পেঁয়াজের দাম শুনলে অনেকের চোখে পানি আসে। কিন্তু যাদের টাকা আছে তাদের কিছুই হয় না। উল্টো তারা পেঁয়াজের দাম নিয়ে হাসাহাসি করেন। দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় টিটকিরি করেন। কোনো কারণ ছাড়াই দাম জিজ্ঞেস করেন এবং তির্যক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুচকি হাসেন।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে কপাল খুলেছে আড়তদার ও মজুদদারদের। পেঁয়াজ নয়, যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন তারা। পাইকারিতেই প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে তারা লাভ করেন ৮৩ টাকা। গতকাল রাজধানীর সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের আড়ত পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে পাওয়া যায় এমন চিত্র। অভিযান চলাকালে মেসার্স রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়ে পেঁয়াজের ক্রয় রসিদ দেখতে চাওয়া হয়। রসিদে ক্রয়মূল্য লেখা ১৩৭ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করছে ২২০ টাকা; অর্থাৎ পাইকারিতে কেজিতে লাভ করছে ৮৩ টাকা। লাভের এ হার দেখে রীতিমতো অবাক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম। পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ১৩ নভেম্বর ১৩৭ টাকা কেজি এবং ১৪ নভেম্বর ১৫৫ টাকা কেজিদরে ক্রয় করে স্টক করেছে। সেই পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি করেন কেজি ২২৯ টাকা। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে পেঁয়াজের মূল্য তালিকা না টানিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে কারসাজি করা, প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে মেসার্স বদিউজ্জামান অ্যান্ড সন্সকে ২০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার, আজমির ভাণ্ডারকে ২০ হাজার, নিউ ভাই ভাই বাণিজ্যালয়কে ২০ হাজার টাকাসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজধানীর সচিবালয় ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাঝের রাস্তায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকের সামনে লাইন ধরেছেন দিনমজুর রফিক। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর আসে বহুল প্রতীক্ষিত সে সুযোগ। ৪৫ টাকায় কেনেন এক কেজি পেঁয়াজ। মহামূল্যবান এক কেজি পেঁয়াজ হাতে পেয়ে তিনি মুহূর্তেই ভুলে যান দুই ঘণ্টা রোদে পোড়ার কষ্ট। তার ভাষায়, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পেঁয়াজ নিতে পেরেছি। এর পরও আমি খুশি। কারণ বাজারে পেঁয়াজের যে দাম তাতে আমাদের মতো নি¤œ আয়ের মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। সকালে বাজারে গিয়ে দেখি এক কেজি পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা। এখানে সেই পেঁয়াজ ৪৫ টাকা। হিসাব করে দেখেন, এখান থেকে পেঁয়াজ কিনলে কেজিতে ২১৫ টাকা বেঁচে যাচ্ছে। যদিও রফিকের মতো ঘোরেনি অনেকেরই ভাগ্যের চাকা। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাইন ধরে এগোতে এগোতে যখন ট্রাকের কাছাকাছি আসেন, তখন শুনতে পান সব পেঁয়াজ শেষ হয়ে গেছে। ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে চাইলে আবার লাইন ধরতে হবে আরো সকালে। নি¤œ আয়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পেঁয়াজের বাড়তি ঝাঁজ সইতে পারছেন না নিত্য আয়ের মানুষ; যে কারণে ৪৫ টাকা কেজি দরে টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভিড় করছেন তারা।
এক কেজি পেঁয়াজের জন্য কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এর পরও হাতে পেঁয়াজ পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তারা। যেন সোনার হরিণ মিলেছে হাতে।
পেঁয়াজের কেজি ২৭৫ : গত ৮ নভেম্বর রংপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পেঁয়াজের দাম আপাতত ১০০ টাকার নিচে নামার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। তবে ১০০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই। এ মাসের শেষের দিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে। তার আগে হয়তো সম্ভব হবে না। বিশ্লেষকদের দাবি, মন্ত্রীর এমন বক্তব্য পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে আরো উসকে দেয়। বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই শিল্পমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক আছে। পরের দিন পেঁয়াজের কেজি পৌঁছে যায় ১৫০ টাকা। আর কার্গো বিমানযোগে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২৭০ টাকা।
২০ অক্টোবর ভারত সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে পেঁয়াজ রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরই রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে তাকে আশ্বস্ত করেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হলেই পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে তার সরকার। গত ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। ফলাফলে বিজেপি জোট জিতেছেও। কিন্তু কথা রাখেননি দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এর আগে ভারত সরকার সে দেশ থেকে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে সর্বনি¤œ দর তিন গুণ বাড়িয়ে দেয়। আগে টনপ্রতি পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি হলেও বর্তমানে তা বাড়িয়ে সর্বনি¤œ রফতানিমূল্য ৮৫২ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারতের কাঁচা পণ্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ন্যাপিড।
ভারতীয় সূত্র জানায়, ভারতের যেসব এলাকায় অনেক বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়ে থাকে এরকম বেশ কিছু এলাকায় এবার বন্যা হয়েছে। এতে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে সরবরাহ কমেছে এবং আমাদের বাজারেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতার বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর দিল্লিতে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। আবার ভারতেরই কিছু এলাকা থেকে ৮ থেকে ১০ রুপি কেজিদরে পেঁয়াজ বিক্রির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
‘পেঁয়াজের মূল্য সিন্ডিকেটের নৈরাজ্য’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) জানিয়েছে, ১২২ দিনে ২৪ বার ওঠানামা করেছে পেঁয়াজের দাম। এ সময় পণ্যটির দাম বেড়েছে ৪০০ গুণ। একই সময়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। গত এক মাসে দৈনিক হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা করে। পেঁয়াজের মূল্যের এ ওঠানামার পেছনে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে দাবি করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, গত চার মাসে বাণিজ্যমন্ত্রী অন্তত পাঁচবার স্বীকার করেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট চলছে। চট্টগ্রামে সিন্ডিকেটের ১৩ সদস্যকে চিহ্নিত করা হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; যা ভোক্তাকে হতাশ, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরবরাহ সঙ্কট ও আমদানি খরচের যে কারণ দেখানো হচ্ছে সে বিষয়ে সিসিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ দু’টি যুক্তিই শুধু অজুহাত ও ভোক্তার সাথে প্রতারণার কৌশল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয়, মিসর থেকে কার্গো বিমানযোগে আমদানিকৃত পেঁয়াজের প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছাবে আগামী মঙ্গলবার। এস আলম গ্রুপ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে, এটি তার প্রথম চালান। পর্যায়ক্রমে অন্য আমদানিকারকদের আনা পেঁয়াজ কার্গো উড়োজাহাজযোগে ঢাকায় পৌঁছবে। এর আগে শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টিসিবির মাধ্যমে সরাসরি তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরিভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজযোগে পেঁয়াজ আমদানি করবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া সমুদ্রপথে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাংলাদেশের পথে রয়েছে, পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় চালান শিগগিরই বাংলাদেশে পৌঁছবে।
এ দিকে কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে সুসংবাদ দিয়েছেন রাজধানীর কাওরানবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা। তারা বলছেন, আগের দিনের তুলনায় গতকাল পাবনাসহ কয়েকটি জায়গায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। আজ রোববার থেকে ঢাকাতেও ১০ টাকা করে কমবে বলে আশ্বস্ত করেন তারা। পাবনা থেকে কাওরানবাজারে পেঁয়াজ সরবরাহকারী পাইকারি ব্যবসায়ী নিতাই বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ২২০ থেকে ২৩০ টাকা চলছে। তবে আজ ঢাকায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমতে পারে। কারণ গতকাল পাবনায় প্রতি মণে ৩০০ থেকে ৪০০ কমে বিক্রি হয়েছে। পাবনার পেঁয়াজ রাতের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে, ভোরে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। পাইকাররা জানান, ইতোমধ্যে পাতা পেঁয়াজ বাজারে ওঠা শুরু করেছে। আর এ মাসের শেষের দিকেই পেঁয়াজ ওঠা শুরু করবে। তখন প্রতিদিন কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমতে শুরু করবে। দেশের বাইরে থেকে বেশি বেশি আমদানি করা সম্ভব হলে পেঁয়াজের বাজার এমনিতেই কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ