`নির্ভেজাল খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের’

349

Untitled-1-1911221410

স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা তারা বলছেন, জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ৮টি বিষয় জড়িত। নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্ভেজাল খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকেও পণ্যের মান ঠিক রেখে ভোক্তার কাছে বিক্রি করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছানো সংশ্লিষ্ট সবার সমান দায়িত্ব।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর দ্বিতীয় দিনে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও মান: দিন দিন চ্যালেঞ্জ ও বের করার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা একথা বলেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ সঠিক উপায়ে করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করার পর বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকেও সতর্কতার সঙ্গে সঠিক তাপমাত্রায় রেখে বিক্রি করতে হবে। সঠিক উপায়ে না রাখলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়।

খাদ্য নিরাপত্তা ও মান ভোক্তার মৌলিক অধিকার। নৈতিক জায়গা থেকেই প্রত্যেক কোম্পানির তা করা উচিত। ভেজালের জন্য খাদ্য উৎপাদন থেকে বিপণন সবাই দায়ী। সেমিনারে উপস্থাপনা করেন ব্র্যাকের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাকের পরিচালক (পুষ্টি) ড. মনিরুল ইসলাম, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সিসিও পারভেজ সাইফুল ইসলাম, আহমেদ ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ডিএমডি মিনহাজ আহমেদ, বিএফএসএ’র সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম ও আইসিডিডিআর’বির সহকারী বিজ্ঞানী ড. ইশিতা মোস্তফা।

অতিথিরা বলেন, যে খাদ্য উৎপাদন করা হয়, সেটির পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে হবে। আমাদের মতো দেশের জন্য খাদ্য নিরাপদ সহজ কথা নয়। এটা খুব কঠিন। তাই মানুষের নৈতিকতাবোধ ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা দরকার। তারা বলেন, এদেশে ভালো ল্যাবরেটরি নেই। অতি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি ল্যাব স্থাপন করা সময়ের দাবি।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ