চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা-ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ব্যাপকহারে এর চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে।
চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ-রসুন, ভূট্টা ও রসুন-পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়ে থাকে ।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলা ব্যতীত ৭ উপজেলায় এবার পেঁয়াজ-রসুনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ২২৮ মে.টন এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৪ শ হেক্টর। এ মৌসুমে চাঁদপুরের হাইমচরে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন হলো ৬ হাজার১২৮ মে.টন এবং চাষাবাদ হলো ৯ শ হেক্টর। রসুনের উৎপাদন হলো ৩ হাজার ১শ মে.টন এবং চাষাবাদ হলো ৫ শ হেক্টর।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ১৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬২ মে.টন।
মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১৪০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩২ মে.টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৭৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫৮ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ১০৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭৭ মে.টন।
কচুয়ায় চাষাবাদ ৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৩ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩ মে.টন এবং হাইমচরে চাষাবাদ ৯১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৯০৩ মে.টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশিদ জানান, চাঁদপুরে পণ্য পরিবহনে সুবিধা, কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ , কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ , সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের সঠিক পরামর্শ এবং ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদানের কারণে চাঁদপুরের চাষিরা ব্যাপক হারে পেঁয়াজ-রসুনের সরিষা চাষ করছে। চাষিরা এতে লাভবান ও হচ্ছে । এবছর আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে।