দীর্ঘ কয়েক মাস দরপতনের পর ডালজাতীয় পণ্য মসুরের বাজার ফের চাঙ্গা হয়েছে। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির বুকিং দর বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জে ডালের আড়ত ও দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি অস্ট্রেলিয়ার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫১-৫২ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও বাজারে একই মানের ডাল বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৩-৪৪ টাকায়। সেই হিসাবে গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি অস্ট্রেলিয়ান মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৮ টাকা। এছাড়া গত সপ্তাহে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কানাডার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ৪১-৪২ টাকায়, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৪৯ টাকা দরে।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি ডাল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘদিন নিম্নমুখী থাকায় আমদানিকারকরা পণ্যটির আমদানি ও মজুদ বৃদ্ধি করেন। ফলে দেশীয় বাজারে গত কয়েক মাস টানা নিম্নমুখী ছিল ডালটির দাম। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া ডলারের দাম বাড়ায় দেশীয় বাজারেও পণ্যটির দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে আমদানীকৃত মসুরের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশীয় মসুরের দামেও। বর্তমানে পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি দেশী মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে ভালো মানের দেশী মসুর ১০৫-১১০ টাকা, মাঝারি মানের ৯৫-১০০ এবং অপেক্ষাকৃত কম ভালো মানের ডাল ৯০-৯৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও সবচেয়ে ভালো মানের দেশী মসুর ১০৫ টাকা, মাঝারি মানের ৯৫ টাকা এবং কম ভালো মানের মসুর ৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।