মধু ব্যবসা করে আয় করছে লাখ লাখ টাকা

808

মধু ব্যবসা করে আয় করছে লাখ লাখ টাকা

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার স্থানীয় এবং সাতক্ষিরা, খুলনা থেকে আগত মৌসুমি মধু ব্যবসায়ী শিক্ষিত বেকার যুবকরা সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ করে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সাবলম্বী হয়ে উঠছে। মধু ব্যবসা করে আয় করছে লাখ লাখ টাকা।

কৃষি বিভাগ বলছে, এতে শুধু মধু চাষীরা লাভবান নয়, লাভবান সরিষা চাষিরাও। এমনকি বাড়বে সরিষার ফলনও।

 কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার দৃষ্টির সীমানা জুড়ে শুধুই হলুদে ভরা সরিষার মাঠ, আর এরই মাঝে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছিরা। ২ উপজেলার অধিকাংশ ক্ষেতে দেখা মিলবে এমন দৃশ্যের মৌমাছিঁর সাড়ি সাড়ি কাঠের বাক্স। এতে আহরিত মধু এনে জমা করছে মৌমাছিরা। তবে এ কাজে ব্যস্ত স্থানীয় ও আগত মধু চাষিরা।

সাতক্ষিরা থেকে আগত মৌসুমি মধু ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন প্রথমে ৩৭টি মৌ বাক্স নিয়ে ৪ বছর আগে ব্যবসা শুরু করে আয়ের টাকায় বর্তমানে তার ১৮০ বাক্স। বছরে নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চলে মধু উৎপাদন করে তারা। এ অঞ্চলে সরিষার মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ দিন অবস্থান করবে। এ সময়ে ৩০ থেকে ৪০ মণ মধু সংগ্রহ হবে। এতে আয় আসবে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।

তিনি জানান, ‘ব্যবসাটি লাভ জনক। আমার সাথে কাজ করে অনেকেই ভালভাবে সংসার চালাচ্ছে। স্থানীয় লোকেরা যাতে এ ব্যবসায় আগ্রহী হয় সেজন্য তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করি।’

স্থানীয় সরিষা চাষী ফরিদ পাটোয়ারী জানান, আগত মৌসুমি মধু ব্যবসায়ীদের সরিষা ক্ষেতে মধু চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে সহযোগিতা করে আসছে তারা। এর ফলে স্থানীয় অনেক বেকার যুবক তাদের সাথে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। অন্যদিকে সরিষার ফলনও ভাল হবে বলে আশা করেন তারা।

‘ফসলে এ পদ্ধতির ক্ষেতে মধুর পাশাপাশি সরিষার পরাগায়নের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় কোন ব্যক্তি উদ্যোগ নিলে অবশ্যই লাভবান হবে। কেউ উদ্যোগ নিলে কৃষি অফিস থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।’ এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম রায়হান জানান।