সিরাজগঞ্জের হাট-বাজারে আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে এই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২০০ টাকা কেজি ধরে। অসৎ ব্যবসায়ীরা বাজারে উঠতি এই নতুন পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও হঠাৎ করে কেজি প্রতি ৮০/৯০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। এ মৌসুমে পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে শহরের বড় বাজার, স্টেশন বাজার, কালীবাড়ী বাজার, বাহিরগোলা বাজার ও শহরতলীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, হঠাৎ করে আড়তে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আড়তে দেশি পেঁয়াজ ১৬০-১৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজারে ১৮০- ২০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। বিদেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে এখন ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এ পেঁয়াজের ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। শহরের ফজলুল হক রোডের পেঁয়াজের আড়তদার বেলাল হোসেন সবুজ ও উজ্জ্বলসহ অনেকেই বলেন, দুই দিন আগেও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও শনিবার সকাল থেকে এই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
আড়তে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৬০-১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এ অঞ্চলের পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রধান ঘাঁটি পাবনার বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে এবার পেঁয়াজ উৎপাদন কম হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা মার্কেটিং অফিসার আইয়ুব আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হঠাৎ করে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি পেঁয়াজ এখন আমদানি না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ‘আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে শুনেছি। এখন থেকেই বাজার মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’