শিমের ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। এ বছর যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১৫০ হেক্টর। তারা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন। ফলে শিম ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হয়েছে।
চাষিরা বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৩২ টাকা দরে শিম বিক্রি করতে পারছেন। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দামে। এতে হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে।
ভোলা সদরের কুড়ালিয়া গ্রামের চাষি চুন্নু মিয়া ও আলতাফ মিয়া বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের রেশ কাটিয়ে যখন গাছে ফুল ও শিম আসতে শুরু করেছে; তখন রোগের আক্রমণ শুরু হয়। সে সময় আমরা কীটনাশক ব্যবহার করলে কোনো লাভ হয়নি। পরে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সার ও কীটনাশক দিলে সফল হই।’
চাষি আরিফ হোসেন, রিপন দেসহ অনেকেই বলেন, ‘সব সমস্যা কাটিয়ে ক্ষেতে বর্তমানে ব্যাপক শিম হয়েছে। বাজার দামও ভালো। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কাটিয়ে এখন সফলতার মুখ দেখছি। বর্তমানের বাজার দর আরও কিছু দিন থাকলে গত ৫ বছরের চেয়ে বেশি লাভ হবে।’
‘ভোলার ৭ উপজেলায় ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ করেছেন কৃষকরা। এ বছর শিমের বাম্পার ফলন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন কৃষকরা। তবে ফসলের ক্ষেতে পোকার আক্রমণের সাথে সাথে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়ায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানালেন ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪জানু২০২০