শৈত্য প্রবাহের কারণে বোরো ধানের চারা হলুদাভ হয়ে ক্রমশঃ শুকিয়ে যায়। এছাড়াও শীতের প্রকোপে চারা ঝলসানো বা চারা পোড়া রোগের জন্য মারা যেতে পারে। শৈত্য প্রবাহে বোরো ধান চাষাবাদে কৃষক ভাইদের বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে-
শৈত্য প্রবাহের সময় বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢেকে দিতে হবে।
বীজতলায় ৩-৫ সেমি. পানি ধরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নলকূপের পানি ব্যবহার ভালো।
বীজতলায় পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে।
প্রতিদিন সকালে জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ দমনের জন্য রোগের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২মিলি.আজোঅক্সিষ্ট্রবিন বা পাইরাক্লোস্টবিন ছত্রাকনাশক মিশিয়ে বীজতলায় বিকালে স্প্রে করতে হবে।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতিশতক জমিতে ২৮০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া প্রয়োগের পরেও চারা সবুজ না হলে প্রতি শতক জমিতে ৪০০ গ্রাম হারে জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে।
জমিতে রোপনের জন্য কমপক্ষে ৩৫-৪৫দিন বয়সী চারা ব্যবহার করতে হবে। এ বয়সী চারা রোপন করলে শীতে চারার মৃত্যুহার কম হয়, সচেত থাকে এবং ফলন বেশি হয়।
চারা রোপনকালে শৈত্য প্রবাহ শুরেু হলে কয়েকদিন দেরী করে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে চারা রোপন করতে হবে।
রোপনের পর শৈত্য প্রবাহ হলে জমিতে ৫-৭ সেমি. পানি ধরে রাখতে হবে।
শীতের তীব্রতা ও চারার বয়স বিবেচনায় সমন্বিত ফসল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অবলম্বন করে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫জানু২০২০