মাছ চাষ একটি লাভজনক পেশা। মাছের চাষ করে অনেকেই তাদের দারিদ্রতা দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মাছ চাষে লাভবান হতে দ্রুত বর্ধনশীল কার্প জাতীয় মাছের জুড়ি নেই। আসুন জেনে নেই কার্প জাতীয় মাছের খাদ্য প্রয়োগে করণীয় সম্পর্কে-
কার্প জাতীয় মাছের খাদ্য প্রয়োগে করণীয়:
সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ:
পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রাচুর্যতা ভেদে সম্পূরক খাদ্যের মাত্রা অনেকাংশে নির্ভর করে। তবে সাধারণত মজুদ পুকুরে প্রতিদিন মাছের ওজনের ৩-৫ শতাংশ হারে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। শীতকালে মাছের জৈবিক পরিপাক প্রক্রিয়া কমে যায়, ফলে তাদের খাদ্য গ্রহনের মাত্রা কমে যায়। তাই শীতকালে মাছ কম খায়। এজন্য শীতকালে মাছের ওজনের শতকরা ১-২ ভাগ হারে খাবার দিলেই হবে।
গ্রাস কার্পের খাদ্য:
গ্রাস কার্প মাছ ঘাস খেয়ে থাকে। তাই গ্রাস কার্পেও খাবার সরবরাহের জন্য পুকুরে চার ফুট লম্বা, চার ফুট প্রস্ত বিশিষ্ট আবেষ্টনীতে (ফিডিং রিং) ক্ষুদিপানা/ কলাপাতা/ সবুজ নরম ঘাস প্রত্যহ সরবরাহ করতে হবে। লাঠি পুঁতে ফিডিং রিংটিকে আটকে দিতে হবে যাতে ফিডিং রিংটি একই স্থানে অবস্থান করে।
ফিডিং রিংটি সব সময় পরিপূর্ন রাখতে হবে। কারণ গ্রাস কার্প ও সরপুঁটি ক্ষুদ্রাকৃতির পাকস্থলী বিশিষ্ট। তাই ক্ষুধা পাওয়ার সাথে সাথে যাতে সামনে খাবার পেতে পারে সেজন্যে ফিডিং রিংটি সর্বদা ঘাসে পরিপূর্ণ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। পুরাতন বা ভাঙ্গা রিং পরিবর্তনেরও ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি গ্রাস কার্পের বিষ্ঠা ৫টি কার্পের খাবারের যোগান দিতে পারে।
সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ:
সরিষার খৈল খাদ্যের সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমপরিমান পানির সাথে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পঁচা সরিষার খৈলের সাথে পরিমাণ অনুযায়ী অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে আধা শক্ত গোলাকার বলের মত তৈরী করতে হবে।
এই খাদ্য দিনে দুই বার অর্থাৎ সকালে ও বিকেলে পুকুরের কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে সরবরাহ করতে হবে।যদি সম্ভব হয় তাহলে খাদ্য পাত্রের মধ্যে সরবরাহ করা ভাল। শুকনো গুঁড়ো খাবার সরাসরি পুকুরের পানিতে ছড়িয়ে দিলে খাদ্যের অপচয় হয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৬জানু২০২০