কাঁঠালের মুচি ঝরা রোগ ও প্রতিকার

686

28685950_2013229489000103_6792549226893980475_n
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটি দেখতে সুন্দর এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু। গ্রীষ্মকালে এটি সকলের নিকট অত্যাধিক প্রিয় একটি ফল। কিন্তু কাঁঠালের মুচি ঝরা রোগ অনেক মারাত্মক একটি রোগ। Rhizopus artocarpi নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। ছত্রাকের কারণে কাঁঠালের মুকুল পচা রোগটিই মুকুল ঝরার প্রধান সমস্যা।ফল পচা বা মুচি ঝরা রোগের কারণে উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায়শঃ কাঁঠালের উৎপাদন অনেকাংশে ব্যহত হয়। রাইজোপাস আরটোকারপি নামক ছত্রাক কচি ফলে (স্ত্রী পুস্পমঞ্জরী) আক্রমণ করে। পুরুষ পুস্প মঞ্জরী পরাগায়ন শেষে স্বাভাবিকভাবেই মুচি কালো হয়ে ঝরে যায়।

রোগের লক্ষণ:

১। এই রোগে আক্রান্ত মুকুল প্রাথমিক অবস্থায় ধূসর হয়ে যায়।

২। পরবর্তীতে মুকুলের গায়ে সরু ও লম্বা সাদা ছত্রাক দেখা যায়।

৩। এরপর সবশেষে আক্রান্ত মুকুল ছোট অবস্থাতেই মাটিতে ঝরে পড়ে।

প্রতিকার

১। এই রোগ থেকে প্রতিকারের প্রাথমিক অবস্থায় গাছের নীচে ঝরে পড়া পুরুষ ও স্ত্রী পুস্প মঞ্জরী সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

২। কাঁঠাল গাছের নীচের জমি সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

২। মুচি আসার আগে ও পরে ১০ দিন পর পর ২/৩ বার বোর্দোমিক্সার বা মেনকোজেব গ্রুপের ডায়থেন এম ৪৫ অথবা মেনকোজেব (৬৪%) = মেটালাক্সিল (৮%) গ্রুপের রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

৩। টেবুকোনাজল গ্রুপের ফলিকুর নামক ছত্রাকনাশক গাছে ফুল আসার পর থেকে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করতে হবে।

আরও তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ উপসহকারী কৃষি অফিসার অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন।

তথ্য সূত্র-

উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১ফেব্রু২০২০