ষাঁড় গরু নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে গবাদিপশু তথা গরু পালন একটি লাভজনক পেশা। অনেকেই গরুর খামার গড়ার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর করে হচ্ছেন স্বাবলম্বী। গরু বিশেষ করে ষাঁড় গরু পালনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত করে হয়। আসুন জেনে নেই ষাঁড় গরু নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় সম্পর্কে-
ষাঁড় গরু নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয়ঃ
১। ষাঁড় গরু সাধারণত অনেক সময় শারীরবৃত্তিয় যৌন চাহিদার কারণে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। কাজেই এই ধরনের আচরণ ষাঁড়ের মধ্যে দেখা গেলে তখন তাকে সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাধারণত প্রজনন কার্যের ঠিক আগে বা প্রজনন শেষ হওয়ার সাথে সাথে ষাঁড়কে খুব সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
এই সময় হাতে একটা অন্তত ১ মিটার লম্বা সরু কিন্তু শক্ত একটা লাঠি সাথে রাখা ভালো। তাছাড়া যেকোন সময়েই ষাঁড় বা বড় বলদ গরু নিয়ন্ত্রণ করার সময় এই ধরনের লাঠি হাতে রাখা উত্তম।
২। ষাঁড় বা বড় বলদ গরুকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গরুর নাক ছিদ্র করে রিং বা রশি লাগিয়ে দেয়া ভালো, এছড়াও চোয়ালে রশি বা বেল্ট দিয়ে বন্ধনি বা হল্টার লাগিয়ে দিতে পারেন।
৩। সবসময় দুই জন মিলে একটা ষাঁড় বা বলদকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। দুইয়ের অধিক লোক হলে অতিরিক্ত হৈ হল্লায় ষাঁড় বা বলদ বিরক্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
৪। ষাঁড় বা বলদ গরুকে যখন এদিক ওদিক নাড়া-চাড়া বা আনা নেওয়া করবেন বিভিন্ন কারণে তখন চোয়াল বা নাকের সাথে সংযুক্ত রশি উঁচু করে টানবেন যাতে ষাঁড়ের মাধা নিচের দিকে না থাকে, নাহলে যেকোন সময় সে আক্রমণ করে বসতে পারে!
৫। যদি কোন কারণে আক্রমণাত্মক ষাঁড়ের রশি আপনার হাত থেকে ছুটে যায় তাহলে অবশ্যই সেই ষাঁড় থেকে অন্তত ৫/৬ মিটার দূরে সরে যাবেন এবং হাতের লাঠি এদিক সেদিক নাড়া-চাড়া করবেন এতে ষাঁড়টি আপনাকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মনে করে রণে ভঙ্গ দিতে পারে!
৬। কখনো ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ষাঁড় গরু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না। যদি কোন কারণে ষাঁড়টি বুঝতে পারে আপনি তাকে ভয় পাচ্ছেন তাহলে সে আপনাকে যে কোন সময় আক্রমণ করে বসতে পারে!
৭। অতি সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে কেউ যদি পূর্বে কোনো ষাঁড়কে অহেতুক বিরক্ত বা প্রহার করে তাহলে সেই ষাঁড় সুযোগ পেলেই ঐ ব্যক্তিকে প্রচন্ড ভাবে আক্রমণ করতে পারে।
ষাঁড় বা বড় বলদ গরু নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে উপরে আলোচিত তথ্যগুলি মাথায় রাখলে অনেকটা নিরাপদেই আমরা এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো এবং এদের কাছ থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে পারবো।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৯ফেব্রু২০২০