কবুতরের পুষ্টিহীনতার কারণে আমদের প্রিয় এই গৃহপালিত প্রাণীটি নানা রোগে ভুগে থাকে। শখের বসে কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আমরা অনেকেই কবুতর পালন করে থাকি। আসুন জেনে নেই কবুতরের পুষ্টিহীনতায় আমাদের করণীয় সম্পর্কে-
কবুতরের পুষ্টিহীনতায় করনীয়:
ভিটামিন-এ:
দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় ও দেহে ক্ষত হয় । ক্ষুধা কমে যায়, দৈহিক বৃদ্ধি ও পালকের গঠন ব্যাহত হয়। নিয়মিত ভিটামিন, প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান অথবা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান করতে হবে।
ভিটামিন ডি:
ডিম উৎপাদন ও তা দেওয়ার ক্ষমতা কমে, অস্থি নরম ও বাঁকা হয়ে যায়। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করতে হবে।
ভিটামিন ই:
পক্ষাঘাত ও এনসেফালোম্যালাশিয়া রোগ দেখা দেয়। কবুতরের বুক ও পেটের নিচে তরল পদার্থ জমে, ইডিমা হয়। ডিমের উর্বরতা কমে যায়। সেলিনিয়ামসহ ভিটামিন ই প্রদান করতে হবে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
ভিটামিন কে:
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। ভিটামিন কে প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান করতে হবে।
ভিটামিন বি ১:
ডানা,পা ও ঘাড়ে পক্ষাঘাত দেখা দেয়। ঘাড়ের পক্ষাঘাতের ফলে ঘাড় পেছন দিকে করে আকাশের দিকে মুখ করে থাকে। ভিটামিন বি ১ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান (চাউলের কুড়া, গমের গুঁড়া, শাক সবজি) করতে হবে।
ভিটামিন বি ২:
ছানার পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়। পরে নখ বা আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যায়। ছানার দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ভিটামিন বি ২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (সবুজ শাক সবজি, ছোলা, খৈল, আলফা-আলফা, ঈষ্ট)
ভিটামিন বি ৬:
ক্ষুধামন্দ্যা দেখা দেয়। ছানার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। প্যারালাইসিস ও পেরোসিস হতে পারে। ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (শস্য, মাছের গুঁড়া, আলফা-আলফা, ঈষ্ট ইত্যাদি)
ভিটামিন বি ১২:
বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ডিমের উর্বরতা হ্রাস পায়। ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান (যকৃত, মাংস ফিসমিল ইত্যাদি)
ফলিক এসিড:
রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও পালক কম গজায়। ০.০১৪ মিগ্রা প্রতিদিনের প্রয়োজন। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও সাথে ম্যানগানিজ (সহ) প্রদান করতে হবে। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২ফেব্রু২০২০