মাছের পিলেট খাদ্যে যেসব উপাদান থাকা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। মাছ চাষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মাছের খাদ্য। খাদ্যের উপর নির্ভর করে মাছের বৃদ্ধি। তাই মাছের খাদ্য উপাদান সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী। আসুন জেনে নেই মাছের পিলেট খাদ্যে যেসব উপাদান থাকা জরুরী সে সম্পর্কে-
মাছের পিলেট খাদ্যে যেসব উপাদান থাকা জরুরীঃ
১। প্রোটিনঃ খাদ্যে মাছ বা চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন আছে কিনা। মাছের খাদ্যে ২৫-৩৫% এবং চিড়ির দৈহিক ওজনানুসারে ৩৫-৪৫% প্রোটিন থাকা প্রয়োজন।
২। লিপিডঃ খাদ্যে মাছের জন্য ৪- ৭ ও চিংড়ির জন্য ৬-৭% লিপিড খাকা প্রয়োজন।
৩। আঁশঃ মাছের খাদ্যে ইহা উদ্ভিদ জাতীয় পণ্য থেকে পাওয়া যায়। অাঁশের মধ্যে মাছের জন্য প্রয়োজনীয় লিগনিন, সেলোলুজ ও হেমিসেলোলুজ থাকে। খাদ্যে আঁশের পরিমান ৪% থাকা প্রয়োজন।
৪। এ্যাশ বা ভস্মঃ এ্যাশের মধ্যে মিনারেল ও ট্রেস ইলিমেন্ট থাকে। খাদ্যে ব্যবহৃত ফিস মিল থেকে তা পাওয়া যায়। খাদ্যে ১৫% এর অধিক এ্যাশ থাকা ঠিক নয়।
৫। স্বাদঃ খাদ্য পুষ্টিকর হলেই চলবে না; তা প্রণির জন্য সুস্বাদু ও আর্কষণীয় হতে হবে।
৬। আদ্রতাঃ ১২% হতে হবে।
৭। ক্যালসিয়ামঃ ২.৩% থাকা উত্তম।
৮। ফসফরাসঃ ১.৫% এর অধিক থাকা প্রয়োজন।
৯। আকারঃ মাছ বা চিংড়ির বয়স বা আকারের সাথে পিলেটের আকারের সামজস্য থাকতে হবে।
১০। আকৃতিঃ সকল কনার রং একই রকম না হলে মনে করতে হবে খাদ্যের সকল উপাদান ভালভাবে মিশ্রিত হয়নি।
১১। পানিতে স্থায়িত্বঃ খাদ্য সরবরাহের পর ১থেকে ২ ঘন্টা সময় পর্যন্ত তা পানিতে শক্ত থাকতে হবে; অর্থাৎ পুকুরে খাদ্য সরবরাহের পর ১ ঘন্টার পুর্বে পিলেট পানিতে ভেঙ্গে যাওয়া সঠিক নয়।
১২। খাদ্য হজম করাঃ খাদ্যের সকল উপাদান সহজ পাচ্য কিনা।
১৩। পুষ্টি উপাদান লিচিং বা চুইয়ে পানিতে চলে যাওয়াঃ খাদ্যের পুষ্টি উপাদানসমুহ কমপক্ষে ১ ঘন্টার পুর্বে পানিতে চুইয়ে চলে যাওয়া ঠিক নয়।
১৪। খাদ্যে হুফা(HUFA) বা হাইলি আনছেচুরেটেড ফ্যাটি এসিডের( ওমেগা ৩) পরিমান।
১৫। খাদ্য মেয়াদোত্তীর্নের বৈশিষ্ট্য।
১৬। খাদ্যের এনার্জি বা শক্তিঃ খাদ্যে কত কিলোক্যালোরি শক্তি আছে তাই হল খাদ্যের এনার্জি।
১৭। ভিটামিনসমূহঃ নির্দিষ্ট পরিমাণ বিভিন্ন ভিটামিন অাছে কিনা তা পরীক্ষা করে নির্ধারণ করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৫ফেব্রু২০২০