হঠাৎ প্রাকৃতিক পরাগায়ণ বা চাঞ্চ সিডলিং হিসেবে পাওয়া নাবি জাতের যাদুভোগ আমের চাষ বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন কৃষিবিদরা। ল্যাংড়ার চেয়েও ভাল, মিষ্টতা শতকরা ২৩ ভাগ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বাংলাদেশের অন্য যে কোনো আমের চেয়ে বেশি। আগষ্ট মাসে পাকবে এই আম। ইতোমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে এই আম চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষে চলতি বছর গাজীপুর জেলার মৌচাক হর্টিকালচার সেন্টারে এই জাতের ৩০০ চারা উৎপাদন করা হচ্ছে।
এছাড়া চাপাইনবাবগঞ্জের কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারেও চলছে এই আম সম্প্রসারণের নানা কর্যক্রম। ভোলাহাট উপজেলার আব্দুস সালাম ১৪/১৫ বছর আগে মালদহ থেকে এই জাতের চারা এনে তার বাড়ির আঙ্গিনায় লাগান। গাছটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে আম ধরছে। এ খবর পেয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারের হর্টিকালচারিস্টরা বিগত দুই বছর ধরে আমটির ওপর গবেষণা চালিয়ে এর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
ভোলাহাট উপজেলার কৃষক আব্দুস সালামের বাড়ির আঙ্গিনায় জন্ম নেয়া ওই গাছটির নীচে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এই আমের সঙ্গে উপস্থিত সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ।
এ ব্যাপারে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, এছাড়া ৪০০ বছর আগে ভোলাহাটের নাম ছিল যাদু নগর। এখনো এখানকার একটি গ্রামের নাম যাদু নগর। এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং ভোগ মিলে এর নাম রাখা হয়েছে যাদুভোগ আম। আমরা ২০১৭ সালে এই আম সম্পর্কে জানতে পারি।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এই আমের জার্ম প্লাজম সংগ্রহ করে গবেষণা ও মূল্যায়ন করতে পারে। ৮-১০ বছর বয়সী এই আমের গাছ থেকে ৫-৭ মণ আম পাওয়া যেতে পারে।
ভোলাহাটের কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, অসময়ের বা নাবি জাতের সুমিষ্ট এবং ভাল বিধায় এই আম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এ কারণে এই আমের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
নাটোরের ফল চাষি সেলিম রেজা বলেন, আম আমি খেয়েছি যথেষ্ট মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০১মার্চ২০