ছাগল কেনার পূর্বে অনেক বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। আমাদের দেশে ছাগল পালন একটি লাভজনক পেশা। ছাগল পালনে অপেক্ষাকৃত খরচ কম হওয়ায় দিন দিন ছাগল পালনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ছাগল পালনে লাভবান হতে চাইলে ছাগল কেনার আগে কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আসুন জেনে নেই ছাগল কেনার আগে লক্ষণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে-
পাঁঠা কেনার ক্ষেত্রেঃ
পাঁঠার পিছনের পা সুঠাম ও শক্তিশালী হতে হবে।
পাঁঠা কেনার ক্ষেত্রে বয়স ১২ মাসের মধ্যে হতে হবে।
পাঁঠা কেনার ক্ষেত্রে বংশ সম্পর্কে অবহিত হতে হবে অর্থাৎ পাঁঠার মা সঠিকভাবে দুধ দিত কিনা এবং তাদের বংশে কোন মারাত্মক ব্যাধি আছে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে।
ছাগী কেনার ক্ষেত্রেঃ
ছাগীকে হতে হবে অধিক উৎপাদনশীল বংশের এবং আকারে বড় হতে হবে।
৯-১২ মাস বয়সের ছাগী (গর্ভবতী হলেও কোনো সমস্যা নেই) কিনতে হবে।
পেট তুলনামূলকভাবে বড়, পাজরের হাড়, চওড়া, প্রসারিত ও দুই হাড়ের মাঝখানে কমপক্ষে এক আঙ্গুল ফাঁকা জায়গা থাকতে হবে।
ছাগীর ওলান সুগঠিত ও বাঁট সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
ছাগলের স্বাস্থ্য সম্পর্কেঃ
ছাগল অবশ্যই সকল ধরনের সংক্রামক ব্যাধি, চর্মরোগ, চক্ষুরোগ, যৌনরোগ ও বংশগত রোগমুক্ত হতে হবে। পিপিআর খুবই মারাত্মক রোগ বিধায় কোনো এলাকা থেকে ছাগল সংগ্রহ করার আগে উক্ত এলাকায় পিপিআর রোগ ছিল কীনা তা জানতে হবে।
ছাগলের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রেঃ
শুরুতেই ছাগলের দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করতে হয়। বয়স ১২ মাসের নিচে হলে দুধের সবগুলোর দাঁত থাকবে, ১২-১৫ মাসের নিচে বয়স হলে স্থায়ী দাঁত এবং ৩৭ মাসের ঊর্ধ্বে বয়স হলে ৪ জোড়া স্থায়ী দাঁত থাকবে।
ছাগল কেনার ক্ষেত্রেঃ
আমদের দেশে সাধারণত যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের চর অঞ্চল, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, বগুড়ার ধুনট, ফরিদপুর, মেহেরপুর ও কয়েকটি স্থানে উন্নতমানের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পাওয়া যায়। এসব স্থান থেকে ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ছাগল ক্রয় করা যেতে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২মার্চ২০