প্রায় ৩০০০ বছর আগে থেকে পৃথিবীব্যাপী তেলাপিয়া মাছের চাষ হয়ে আসছে। চাষকৃত সকল মাছের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখলকারী এই মাছের সবচেয়ে উৎপাদন বেশি হয় এশিয়াতে। চীন উৎপাদন করে সর্বোচ্চ ৫০% ও বাংলাদেশ প্রায় ৭%। তেলাপিয়া উৎপাদনে এশিয়ার ৮ম স্থান অধিকারী বাংলাদেশে whole frozen, fillet frozen I fillet fresh এই তিন ধরনের তেলাপিয়ার চাষ করে বছরে উৎপাদন হয় প্রায় ২.৬ মিলিয়ন টন। খাঁচায় চাষকৃত তেলাপিয়া মাছের রোগ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হল:
রোগের লক্ষণ :
১. মাছের কানকোর কিছু অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়,
২. অঙ্কীয়দেশে কিছু অনাকাক্সিক্ষত দাগ দেখা যায়,
৩. মাছের পিত্তথলী স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায়,
৪. কেবল ১০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছেই এই রোগ দেখা যায়,
৫. আক্রান্ত- হওয়ার সাথে সাথে মাছ দ্রুত মারা যায়,
৬. মৃত্যুর আগে মাছগুলো কুণ্ডলি আকারে ঘোরাফেরা করে।
সম্ভাব্য কারণ :
১. কোনো অনুজীবের যেমন- ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া আক্রমণ,
২. পরিবেশগত বিশৃঙ্খলতা,
৩. আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার কিংবা আগাছা নাশকের ব্যবহার,
৪. খাঁচায় মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ,
৫. প্রতিটি খাঁচায় মাছের অধিক ঘনত্ব,
৬. খাঁচার ভেতরের পানির ঢ়ঐ এর তারতম্য,
৭. খাঁচায় অক্সিজেন সরবরাহ কম ইত্যাদি।
করণীয় :
১. খাঁচায় অধিক পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে,
২. খাঁচায় মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে,
৩. খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে,
৪. নেট পরিস্কার রাখতে হবে,
৫. এন্টিবায়োটিক ডোজ বাড়াতে হবে,
৬. খাঁচাগুলো সারিবদ্ধভাবে না রেখে আঁকাবাঁকা করে রাখা যেতে পারে।
লেখক: বিকাশ কীর্ত্তনিয়া, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭এপ্রিল২০