ভ্যাকসিন বা টীকা দেওয়ার অনেক পদ্ধতি আছে। কিন্তু পানিতে লাইভ ভ্যাকসিন দেয়া একটি বহুল প্রচলিত পদ্ধতি।
ভ্যাকসিন দিতে পানির পরিমান:
মুরগী কতটুকু পানি গ্রহন করবে এটা হিসাব করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি মুরগীর ঘরে পানির লাইনে পানি মাপার যন্ত্র বসানো থাকে তাহলে খুবই সহজ ভাবে কতটুকু পানি খাবে তার ধারনা পাওয়া যাবে। যদি কতটুকু পানি খাবে তা মাপার যন্ত্র না থাকে তবে মুরগির বয়স এবং তাপমাত্রা অনুযায়ী নিম্নের টেবিলে একটি ধারনা দেয়া হচ্ছে-
লিটার/১০০০মুরগী/দিন |
||
ব্রয়লার বয়স |
২২০ সেলসিয়াস | ৩২০ সেলসিয়াস |
১ |
৫০ |
১০০ |
২ |
৭৫ |
১৪০ |
৩ |
১১৫ |
২২৫ |
৪ |
১৫০ |
২৯৫ |
৫ | ১৮২ |
৩২৭ |
বিশেষ দ্রষ্টব: যদি তাপমাত্রা বেশী হয়, মুরগির পানি খাওয়ার পরিমানও বাড়বে। সারা দিন যে পরিমাণ পানি পান করবে তার ৩০ ভাগ পানিতে ভ্যাকসিন মেশাতে হবে অথবা সকালে ২ ঘন্টায় যে পরিমাণ পানি মুরগী খাবে সে পরিমান পানিতে ভ্যাকসিন মেশাতে হবে।
ভ্যাকসিনের সময় বিশেষ সতর্কতা:
- সকালের ঠান্ডা সময় ভ্যাকসিন দিতে হবে।
- ক্লোরিন বা যে কোন ডিসইনফেকটেন্ট যুক্ত পানি সরবরাহ করা ৪৮ ঘণ্টার পূর্বে বন্ধ করতে হবে।
- গরমের সময় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত এবং শীতের সময় ১ ঘন্টা থেকে ১.৩০ ঘন্টা পর্যন্ত পানি ভ্যাকসিন দেওয়ার পূর্বে বন্ধ করে রাখতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ড্রিংকার এর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কেন Skim Milk ব্যবহার করব:
পানিতে বিদ্যমান ক্লোরিন, ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও হেভি মেটালের প্রভাবে অনেক সময় মান সম্পন্ন ভ্যাকসিনও অকার্যকর হতে পারে। কাজেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় পানিতে Skim Milk বা Non Fat Milk ব্যবহার করলে ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া মান সম্পন্ন হবে। এছাড়া কিছু কোম্পানীর বিভিন্ন নামে বিভি প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে থাকে। আমরা সেগুলোও ব্যবহার করতে পারি। চলবে….. সূত্র: পি.কে.বি