বাড়িতে হাঁস পালন ও জাত নির্বাচন করবেন যেভাবে

2426

পারিবারিকভাবে পালিত দেশী হাঁস জলাশয়ে এবং ক্ষেতখামারে চরে জীবন ধারন করতে পারে। কিন্তু উন্নত জাতের হাঁস পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্নবান হতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক খাবার যেমন – শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, কেঁচো, শাপলা, ক্ষুদেপানা ছোট মাছ ও নানা ধরনের কীটপতঙ্গ মুক্ত অবস্হায় জলাশয়ে পাওয়া গেলে শুধু সকাল ও বিকালে পরিমিত পরিমান দানাদার খাবার সরবরাহ করলেই চলবে। হাঁসের খাবারের সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে হয়।

হাঁস পালনের উপকারিতা এবং লাভ লোকসান
হাঁস হাওর-বিল, ডোবা-নালা ও ধানের জমিতে নিজেরা চরিয়ে খেতে পারে।
হাঁসের প্রাকৃতিক খাবারের অভাব হয় না।
হাঁসের ডিম ও মাংস প্রাণীজ আমিষের অন্যতম উৎস।
হাঁসের ডিম ও মাংস বিক্রি করে পরিবারে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে চলতে পারে।
হাঁস ও মাছের চাষ এক সাথে করা যায়।
হাঁসের বিষ্ঠা ভালোমানের জৈব সার।
বাজার সম্ভাবনা

স্থানীয় বাজার ছাড়াও বড় বড় হাটে-বাজারে হাঁস বিক্রি করা যায়। হাঁস জবাই করে পালক খসিয়ে বাজারে বিক্রি করা যায়। সম্পূর্ণ হাঁস বিক্রি করা তুলনামূলক সহজ। ডিম সরাসরি বাজারে বিক্রি করা যায়।

হাঁসের জাত নির্বাচন
দেশি হাঁস : নাগেশ্বরী, মাটি হাঁস, সাদা হাঁস ও রাজ হাঁস। দেশি হাঁস তুলনামূলক আকারে ছোট এবং ডিমও কম দেয়।

উন্নত হাঁস/ বিদেশী জাত: খাকি ক্যাম্পবেল, চেরীভেলী, জিংডিং হাঁস ও ইন্ডিয়ান রানার ডিমের জন্য ভালো।

খাকি ক্যাম্পবেল ও চেরীভেলী বছরে ভালো পরিবেশে ২৫০-৩৫০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। সাদা পিকিং ভালো। এরা বছরে ৮০-১২০টি ডিম দেয়। এদের মাংস বেশ সুস্বাদু।
হাঁসের জাত না জানলে ব্যাবসা ভাল হবে না: হাঁস পালনের ক্ষেত্রে যে কোন একটি জাত বাছাই করতে হবে। একই খামারে একাধিক জাতের হাঁস রাখা কিছুটা কঠিন কারণ বিবিন্ন রকমের যত্ন নিতে হয়। তবে অসম্ভব নয়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮এপ্রিল২০