করোনার প্রভাবে পরিবহন ও ক্রেতা সংকটে খাগড়াছড়িতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক। উৎপাদিত সবজি ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। দাম না পেয়ে সবজি খাওয়ানো হচ্ছে গবাদিপশুকে।
খাগড়াছড়ির সমতল ভূমিতে এই মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ করেছেন কৃষকরা। এখানকার অধিকাংশ মানুষই কৃষি পেশায় জড়িত। অনুকূল আবহাওয়ায় উৎপাদনও হয়েছে বেশ ভালো। বাম্পার ফলন হলেও কৃষকদের মুখে হাসি নেই।
বরবটি, কুমড়া, পুঁইশাক, বেগুন, টমেটো, ঢেঁড়শসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হলেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। পরিবহন বন্ধ থাকায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে এ সব সবজি। বাজারে নিয়ে গেলেও গ্রাহক সংকটে দাম পাচ্ছেন না তারা। দাম না পেয়ে বাজারেই ফেলে আসছেন শাক-সবজি। অবিক্রীত সবজি খাওয়ানো হচ্ছে গবাদিপশুকে।
এ অবস্থায় কৃষকদের উৎপাদিত সবজি কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বিপণনের অনুরোধ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রহমান কবির রতন জানান, এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। করোনার কারণে তারা উৎপাদিত সবজির দাম পাচ্ছেন না। কৃষি বিভাগের উচিত তাদের উৎপাদিত শাক-সবজি বিপণনে সহায়তা করা।
এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস জানান, শিগগিরই স্থানীয় প্রশাসনকে যুক্ত করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের উদ্যোগ নেয়া হবে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিভিন্ন জেলায় কৃষিপণ্য পরিবহনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২১এপ্রিল২০