সাধারণত মাছ কয়েক ধরনের বহিঃপরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে বিধায় চাষীরা চিনতে ভুল করে। চিনতে না পারার কারণে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয় অথবা ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়, ফলে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায়।
ধরনের বহিঃপরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে বিধায় চাষীরা চিনতে ভূল করে। চিনতে না পারার কারনে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয় অথবা ভূল চিকিৎসা দেওয়া হয়, ফলে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায়।
আজ আমরা জানব লার্নিয়া বহিঃপরজীবি নিয়ে। এটা এক ধরনের লার্নিয়া নামক বহিঃপরজীবীর আক্র্রমণের ফলে রোগটি হয়। লার্নিয়া বহিঃপরজীবী সাধারণত কয়েক ধরনের হয়ে থাকে।
লার্নিয়া আক্রমণের কারণ কি :
পুকুরে জৈবিক পদার্থ বেড়ে গেলে, অতিরিক্ত গোবর ব্যবহার করলে, পুকুরের তলার কাঁদা পঁচে গেলে, পানির পরিবেশ খারাপ থাকলে, যে পুকুরের মাছ এ রোগে আক্রান্ত সে পুকুরে ব্যবহারিত জ্বাল এই পুকুরে ব্যবহার করলে, অথবা আক্রান্ত কোন মাছ পুকুরে মজুদ করলে, পুকুর পাড়ে আগাছা এবং ঝোপঝাড় থাকলে ইত্যাদি।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা :
ভালভাবে পুকুর প্রস্তুত করতে হবে, মাছ ছাড়ার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে শোধন করে নিতে হবে, অতিরিক্ত কোন জৈবসার রাসায়নিক সার গোবর মুরগীর লিটার ব্যবহার করা যাবেনা, নিয়মিত চুন-লবণ প্রয়োগ করতে হবে, পুকুরে ঝোপঝাড় বা কোন আগাছা থাকতে পারবেনা, সব সময় পানির পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে।
রোগের চিকিৎসা :
আপনার মাছ লার্নিয়া দ্বারা আক্রান্ত এটা বুঝা যায় তখনি, যখন মাছের শরীরে লাল দাগ দেখা যায় বা মরা শুরু হয়। তবে তখন আর কিছুই করার থাকেনা আক্রান্ত মাছগুলো মারা যাবেই।
তাই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে চাইলে চাষীকে সচেতন হতে হবে, নিয়মিত মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
প্রতিমাসে শতক প্রতি ২৫০/৩০০ গ্রাম চুন, ২০০ গ্রাম লবন প্রয়োগ করবেন।
যদি আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে শতকপ্রতি ৩/৫ ফুট গভীরতায় আইভারমেক্টিন / সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের ঔষধ ৩ মিলি করে রোদ থাকা অবস্হায় পুকুরে প্রয়োগ করবেন।
পরদিন শতকে ৫ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এক লিটার পানিতে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিবেন।
তিনদিন পরে একটি সাতদিন পরে আরেকটি আইভারমেক্টিনের বুষ্টারডোজ দিয়ে দিবেন।
আক্রান্ত মাছের শরীরে লাল দাগ বেশি বড় হয়ে গেলে এগুলো শুকানোর জন্য প্রতিকেজি খাবারের সাথে অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ৫ গ্রাম ও ভিটামিন সি ৩ গ্রাম মিশিয়ে ৭ দিন খাওয়াবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন প্রতিষেধকের চাইতে প্রতিরোধই উত্তম।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২২এপ্রিল২০