করোনাকে পাল্লা দিয়ে লাউ চাষে ভাগ্য বদল

599

লাউ চাষ করেও একজন প্রান্তিক কৃষক যে তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন তার উদাহরণ ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের ফারুক। তিনি বছরের ছয় মাস ৪৮ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেন। এতে তার খরচ হয় ২০ হাজার টাকা, আর ওই লাউ বিক্রি করেন দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। ফারুকের এই সফলতা দেখে গ্রামের অনেক কৃষক এখন লাউ চাষ শুরু করছেন। ফলে এলাকায় দিন দিনই বাড়ছে লাউচাষির সংখ্যা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব কানাইনগর গ্রামের কৃষক মো. ফারুক (৪০)। তিনি গত ৫ বছর আগে ১৮ শতাংশ জমিতে বছরের আশ্বিন মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত লাউ চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরই বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। পরের বছর থেকে ফারুক বড় পরিসরে লাউ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ৪৮ শতাংশ জমিতে লাউয়ের চাষ করছেন। বাকি ছয় মাস ওই একই জমিতে ধান চাষ করেন তিনি। কৃষক মো. ফারুক জানান, লাউ বিক্রির টাকা দিয়ে ৩ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার ভালোভাবে চলছে তার। পাশাপাশি নতুন ঘর তুলেছেন, গরু কিনেছেন ৫টি। এছাড়া প্রায় ৫ লাখ টাকার জমিও কিনেছেন তিনি।

ফারুকের সফলতা দেখে ওই গ্রামের মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর, আমিরসহ বেশ কয়েকজন লাউ চাষ শুরু করেছেন। ফলে দিন দিন লাউচাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় কৃষক মো. আলাউদ্দিন মিয়া জানান, গত কয়েক বছরে ফারুক লাউ চাষ করে অনেক টাকা লাভ করেছেন। এ দেখে গ্রামের অনেকে এখন লাউ চাষ শুরু করছেন।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘কৃষি বিভাগ মো. ফারুকের মতো সব কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার লে কাজ করে যাচ্ছে। আর মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।’ অনেক কৃষক অধিদফতরের দিক নির্দেশনা ও সঠিক পরামর্শে স্বাবলম্বী হয়েছে বলেও জানান তিনি।

লেখকঃ কামরুল হাসান

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৯এপ্রিল২০