ফরিদপুর দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ৭৪ ও ৮৪ জাতের ধানের আবাদ। এই ধানে জিংক সমৃদ্ধ থাকায় পুষ্টিগুণ বেশি ও ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকে পরছে এই ধান চাষে।
হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা একেকে ও কৃষি বিভাগ যৌথভাবে এ ধান চাষে কৃষকদের বীজ, সার, প্রশিক্ষণসহ দিচ্ছে নানা সহায়তা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আলিয়াবাদ গ্রামে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ৭৪ ব্রি ৮৪ জাতের ধানের কর্তন কাজের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আবুল বাসার মিয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলী আহমেদ, আমরা কাজ করি (একেকের) সমন্বয়কারী এম এ কুদ্দুস মিয়া, ফিল্ড অফিসার মো. রুবায়েত ইসলাম। এ সময় কৃষক মো. ইফজাল খান ও মোঃ জামাল মোল্লার ২ একর ব্রি ৭৪ ব্রি ৮৪ জাতের ধান কর্তন করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল বাসার মিয়া জানান, এবছর সদর উপজেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ৭৪ ব্রি ৮৪ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রি ৮৪ প্রতি হেক্টরে ফলন হয় ৭ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন ও ব্রি ৭৪ প্রতি হেক্টরে ফলন হয় ৮ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, আমরা জিংকসমৃদ্ধ ধান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে থাকি, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানা সহায়তা দেয়া হয়।
একেকের সমন্বয়কারী কুদ্দুস মিয়া জানান, অন্য জাতের ধানের চেয়ে ব্রি ৭৪ ও ৮৪ জাতের ধানের ফলন বেশি হয়। আর এই ধানে জিংক সমৃদ্ধ থাকায় শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়, ক্ষুধামন্দা দুর হয়, ছেলে মেয়েরা লম্বা হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গর্ভবতী মায়েদের স্নায়ু দুর্বলতা দূর হয়।
কৃষক মো. আফজাল খান বলেন, আমি এই বছর একেকের পরামর্শে জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষ করছি। এই ধানের ফলন ভালো। অনেক কৃষক আমার কাছে এই ধানের বীজ চেয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩মে২০