জাপানের জাতীয় ফল এখন চাষাবাদ হচ্ছে বাংলাদেশে

1958

পার্সিমন জাপানের জাতীয় ফল। আর এ ফল এখন চাষাবাদ হচ্ছে বাংলাদেশের নাটোরে। নাটোরে সীমিত আকারে পার্সিমনের ফলন পাওয়া গেলেও অচিরেই এই বিদেশি ফল এ দেশের মানুষের কাছে নন্দিত হবে এটাই আশা করছেন উদ্যানতত্ত্ববিদরা। জাপান, ইটালি, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করা ১৫টি পার্সিমন গাছে ফল ধরানোর চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করেন দেশের প্রখ্যাত ফল গবেষক এসএম কামরম্নজ্জামান। নাটোরের মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টারে তার কয়েক বছরের অক্লান্ত্ম প্রচেষ্টা সফলতা পায় ২০১০ সালে। বর্তমানে তার প্রায় কুড়ি ফুট উচ্চতার ছয়টি গাছের প্রত্যেকটিতে দেড় থেকে দুই হাজার করে পার্সিমন ফল ধরেছে।

রং এবং আকৃতিতে এ দেশের টমেটো এবং গাবের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা পার্সিমন ফল হলুদ ও কমলা রঙের মিশ্রণে গাছে ধরে রাশি রাশি। গাছ হয়ে ওঠে সুশোভিত। ছয় থেকে সাতটা ফলে এক কিলোগ্রাম হয়। সুস্বাদু ও রসালো পার্সিমনের মধ্যে ছবেদার মতো কয়েকটি বিচি থাকে। আর ভিয়েতনামের পার্সিমন খানিকটা কচকচা। জাপানের পার্সিমন বিচিমুক্ত হবে বলে আশাবাদী এসএম কামরম্নজ্জামান।

পার্সিমন গাছে ফুল আসে মার্চে আর ফল সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। তবে ফল প্রাপ্তির সময়কে দীর্ঘায়িত করে নভেম্বরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় কাজ করছেন এই উদ্যানতত্ত্ববিদ ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব এসএম কামরম্নজ্জামান। তিনি বলেন, নভেম্বরে এ দেশে উৎপাদিত কোনো ফল নেই। ফলশূন্য নভেম্বরে এই ফল উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অবশ্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টারে থাকা গাছগুলোকে মাতৃগাছ হিসেবে ব্যবহার করে এক হাজার চারা তৈরি করা হচ্ছে। এসব চারা বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে যাবে সারাদেশে। আর এসব গাছ থেকে ফল পাওয়া যাবে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে। এক সময় দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠবে।

এ ফলে শর্করা, ক্যালরি, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিনসহ আরও পুষ্টিগুণ রয়েছে। ডায়রিয়া, আমাশয় রোগে ব্যবহার ছাড়াও মাদকাসক্ত রোগের চিকিৎসায়, সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে এ ফল দারুণ উপকারী।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৬জুন২০