জমিতে পানি না উঠলে গাছ বাঁচে দুই বছর এবং প্রতিটি মৌসুমে প্রতিটি গাছ থেকে পাওয়া যায় ২০ থেকে ৩০ কেজি বেগুন। একই সাথে এটিতে হয়না তেমন কোন পোকার উপদ্রব পাশাপাশি খেতে এটি অনেকটা সু-স্বাদু এমনি একটি উচ্চ ফলনশীল জাতের বেগুন পার্পল কিং।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রতি বিঘাতে (৩০ শতাংশ জমি) প্রায় ৯ টন ফসল পাওয়া যায়।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের কৃষক মো. আবুল হোসেন বেগুন সম্পর্কে বলেন, আমি এক কেয়ার (৩০ শতাংশ) জমিতে তিন হাজার চারা লাগিয়েছিলাম। এতে খরচ পড়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার টাকা উঠে গেছে।
এ বেগুন সম্পর্কে এই কৃষক বলেন,পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন জায়গায় এটি সারা বছর উৎপাদন করা যায়। এটি তাপমাত্রা সহিষ্ণু। তবে এর উত্তম ফলনের জন্য ২০ থেকে ৩৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা ও বাতাসের আদ্রতা ৬০ থেকে ৮০ ভাগ হলে ভালো হয়।
সার সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গোবর সার, ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি, জিংক প্রভৃতিসহ প্রায় ১৪০ কেজি সার দিয়েছি। খরচ পড়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে বেগুন থেকে প্রতি বছর আমার ২০/২৫ হাজার টাকা লাভ থাকে বলেও তিনি জানান।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রথীন্দ্র দেব বলেন, এটি বেশিদিন হয়নি বাজারে এসেছে;। কৃষকরা লাগানোর ছয় থেকে এক বছরের মধ্যেই লাভের মুখে দেখে থাকেন বলে এই প্রজাতির বেগুনটি বাজারে এসেই সাড়া ফেলেছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫জুন২০