এবার বর্ষায় তৎপরতা বেড়েছে মাছ শিকারিদের। তাই এ সময় দেশীয় বাঁশ-বেত দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশীয় এসব ফাঁদের নাম এলাকা ভিক্তিক- চাঁই, টইয়া, পরো, ডিড়ই, ডাড়কি, ভোরং, বানা, হেঙ্গা ও খোলসুন ইত্যাদি।
জানা যায়, দিনাজপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় জমে উঠেছে মাছ ধরার সামগ্রীর বাজার। বর্ষায় নতুন পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চল পানির নিচে। কয়েকদিন ধরেই চলছে অবিরাম বৃষ্টি। শত শত পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে মাছ ধরায় মেতে উঠেছে ছোট-বড় সবাই। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের তৈরি বিভিন্ন জাল ও বাঁশের তৈরি ফাঁদ দিয়ে ছোট মাছ ধরার ধুম পড়েছে। বেড়েছে জাল বিক্রি।
সরেজমিনে জানা যায়, অতি বৃষ্টিতে ছোট ছোট পুকুর-ডোবার মাছ ভেসে গেছে। এসব মাছ ছড়িয়ে পড়েছে জমিতে। এ সুযোগে লোকজন মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে। পানির মধ্যে মাছ ধরার ফাঁদ রেখে দেওয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট ছোট মাছগুলো এ ফাঁদের ভেতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলের খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।
খানসামা উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট পাকেরহাটে দেখা যায়, প্রতিটি ফাঁদ আকার ভেদে ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার আঙ্গারপাড়া, গোয়ালডিহি, গারপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী নীলফামারী, রাণীরবন্দর, সৈয়দপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩-৪ হাজার ফাঁদ বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। এ ছাড়াও আবার অনেকে নিজ হাতে তৈরি করে বিক্রি করছেন।
স্থানীয় থেন্নু, গিরিশ, গণেশ রায় ও মজিবরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে তারা মাছ ধরার যন্ত্র তৈরির কাজ করেন। প্রতিটি ফাঁদ তৈরিতে বাঁশ ও সুতা মিলে ১৫০-২০০ টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি হয় ৩০০-৫০০ টাকা। তবে ফাঁদের চাহিদা দিনদিন কমেছে। বর্তমানে সব কিছুর দাম বেশি, সে তুলনায় ফাঁদের ভালো দাম পাচ্ছেন না।
ফাঁদ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর বর্ষা ভালো হওয়ায় জমিতে মাছও বেশি। তাই মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি ফাঁদ কিনতে এসেছি। দাম তুলনামূলক কম।’
সূত্র: জাগো নিউজ
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩০জুন২০