ধানের ব্লাস্ট রোগ ও প্রতিরোধ

1812
গিট ব্লাস্ট

[su_slider source=”media: 2458,2457,2459″ title=”no” pages=”no”]

ছত্রাকের কারনে এই রোগ হয়ে থাকে। এটি ধানের একটি প্রধান রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে এ রোগের আক্রমণ বেশী হয় তবে আউশ মৌসুমেও এ রোগ দেখা যায়। ফসলের সকল স্তরে এ রোগ দেখা যায়। তবে চারা অবস্থায় এ রোগ বেশী হয়।

রোগের লক্ষণ:
সাধারণত এই  রোগে ধান গাছের পাতা, গিট ও শীষে আক্রমণ করে থাকে। গাছের আক্রান্ত অংশের উপর ভিত্তি করে এ রোগ তিনটি নামে পরিচিত।

১। পাতা ব্লাস্ট:
পাতায় প্রথমে ডিম্বাকৃতির ছোট ছোট ধূসর বা সাদা বর্ণের দাগ দেখা যায়। দাগগুলোর চারিদিকে গাঢ় বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে বড় হয়ে চোখের আকৃতি ধারন করে।

২। গিট ব্লাস্ট:
ধানগাছের থোড় বের হওয়ার পর থেকে এ রোগ দেখা যায়। গীট কালো রংয়ের দাগ সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে এ দাগ বেড়ে গিট পচে যায়, ফলে ধান গাছটি গিট বরাবর ভেংগে যায়।

৩। শীষ ব্লাস্ট:
এই রোগ শীষের গোড়া অথবা শীষের শাখা প্রশাখার গোড়ায় কালো দাগ হয়ে পচে যায় এবং শীষ অথবা শীষের শাখা প্রশাখা ভেংগে যায়।

অনুকূল পরিবেশ:

  • আক্রান্ত বীজ ব্যবহার।
  • পানির অভাব।
  • উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া।
  • পটাশিয়াম সারের অভাব।

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা:

  • বালাই সহনশীল জাতের চাষ। বিআর-১২, ১৫, ১৬, ২৪, ব্রিধান-৩৩।
  • বীজ শোধন।
  • আগাছা দমন।
  • লক্ষন দেখা দিলে পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করা।
  • জমিতে যথোপযুক্ত পরিমাণে পানি সংরক্ষণ করতে হবে।
  • আক্রান্ত জমিতে হেক্টর প্রতি ৮০০ মিলি হিনোসান অথবা হেক্টর প্রতি ২.৫ কেজি বেনলেট বা টপসিন ৭০ ডব্লিউ পি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।