বাড়ির চৌবাচ্চাতে মাছ চাষ করে উপার্জন করুন

1998

আমাদের অনেকেরই বাড়ির মধ্যে চৌবাচ্চা আছে। অনেকে তা ব্যবহার করে থাকি, আবার অনেকের অব্যবহারে তা পরিত্যক্ত। কিন্তু জানেন কি এই চৌবাচ্চায় আপনি করতে পারেন কই, সিঙি মাছের চাষ। কম সময়ে অধিক পরিমাণে মাছ চাষ করতে নতুন কৌশলের প্রশিক্ষণ কৃষি দপ্তরের। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের করুঞ্জি গ্রামে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করা হয়েছে। যারা চাষে আগ্রহী, কৃষি দপ্তর থেকে তাদের মাছের চারা দেওয়া হচ্ছে।

করুঞ্জি গ্রামে দু’জন উপভোক্তাকে ৫০০০টি করে মাছের চারা দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের বাড়ির চৌবাচ্চায় একজন কই ও অপরজন সিঙ্গি মাছের চাষ করছেন। পূর্ব বর্ধমানের উপ কৃষি অধিকর্তা আবদুস সালাম জানান, “আতমা প্রকল্পে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে অল্প জায়গায় বেশি পরিমাণে মাছচাষ শুরু করা হয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সরকারিভাবে এই চাষের প্রশিক্ষণ এবং চারামাছ অনুদান হিসাবে দেওয়া হচ্ছে।”

আউশগ্রামের করুঞ্জি গ্রামে দু’জনের বাড়িতে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছের চাষ শুরু হয়েছে। ৬ ফুট/ ৬ ফুট চৌবাচ্চা করে তার উপরে ছাউনি করা হয়েছে, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের জন্য রয়েছে ব্যবস্থা। এখানে মাছ চাষের পাশাপাশি বাড়ির ছাদে সবজিরও চাষ করা হচ্ছে। চৌবাচ্চার অপরিষ্কার জল পাম্পের সাহায্যে ছাদে তুলে সেখানে কাঠকয়লা ও নুড়িপাথরের উপর সেই জল ফেলে শোধন করা হচ্ছে। জলের তলায় পড়ে থাকা মাছের মল ও বর্জ্য জৈব সার হিসাবে ফল ও সবজি চাষে ব্যবহার করা হয়। কৃষি আধিকারিকরা জানান, বায়োফ্লক পদ্ধিতে মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক।

সূত্র: আজকের কৃষি

ফার্মসএন্ডফার্মার/০২জুলাই২০