আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ‘‘আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লাকে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উন্নীতকরণ’’ শীর্ষক প্রকল্প এর আর্থিক সহযোগীতায় কুমিল্লা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- গাজীপুরের বিএআরআই ( সেবা ও সরবরাহ) পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান শেখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিক, গাজীপুরের বিএআরআই (আমগকে) এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহা. সহিদুজ্জাম।
সভাপতিত্ব করেন- ড. মো. অককাছ আলী, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সগবি, বিএআরআই, গাজীপুর। আয়োজিত কর্মশালায় সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কুমিল্লা এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো.হায়দার হোসেন ও অত্র কেন্দ্রের বিজ্ঞানীগণ ফসলের গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার উপ পরিচালকগণ জেলার কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্টর মাধ্যমে তুলে ধরেন। কর্মশালায়- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউ, কুমিল্লা এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মো. উবায়দুল্লা কায়ছার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা; পরমানু কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা; বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা এর প্রধান গণ নিজ নিজ দপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন-কৃষিবিদ শামীমা সুলতানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা।
প্রসঙ্গত, কৃষিপ্রধান আমাদের এ বাংলাদেশ। প্রতি বছরই বিভিন্ন কারণে কমছে এক ভাগ হারে কৃষকের চাষযোগ্য জমি। এ দিকে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে জনগনের সংখ্যা। তাই অল্প পরিমান জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করে দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণকে খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানী বাস্তবায়ন সময়ের দাবি। কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন উচ্চ ফললনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকের কাছে প্রযুক্তিসহ হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে আসছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৯জুলাই২০