কুমিল্লায় বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ-৩ এর কৃষক মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার কুমিল্লার কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা এর আয়োজনে ও মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদার করণ প্রকল্প এর আর্থিক সহযোগীতায় গবেষণার মাঠে এ দিবস পালন করা হয়।
মাঠ দিবসে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন গাজীপুরের বিএ আর আই (সেবা ও সরবরাহ) এর পরিচালক – মো. হাবিবুর রহমান শেখ। তিনি বলেন- বাংলাদেশের সকল শ্রেনীর মানুষ প্রতিদিন খাবারের সাথে পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন। এটি আমাদের দেশের কৃষ্টি কালচারের সাথে মিশে আছে। একজন কৃষক অল্প এক টুৃকরো জমিতে বারি পেঁয়াজ-৩ এর চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারেন।এসময় আরো বক্তব্য রাখেন-ড. উবায়দুল্লাহকায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা ও কেন্দ্রের বিজ্ঞানীগণ।
প্রসঙ্গত, মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ প্রথম অবস্থানে। বাংলার মায়েরা পেঁয়াজ ছাড়া খাবার রান্নাকরবেন এ কথা চিন্তাই করা যায় না। কারন- পেয়াঁজ খাবারের স্বাদ ও গুনগত মান বাড়িয়ে দেয়। পেঁয়াজ যে শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, পেঁয়াজে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও ভেষজ গুণাবলী। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। তবে আমাদের দেশে পেঁয়াজের চাহিদা মিটানোর জন্য প্রতি বছর শতশত কোটি টাকা ব্যায় করে বিদেশ থেকে আমদানী করে এ চাহিদা মিটাতে হয়। দেশের সকল মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবন করেছে গ্রীষ্মকালীন বারি পেঁয়াজ-৩। আমরা সবাই জানি পোঁয়াজ আমাদের দেশে শীতকালে হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা প্রচেষ্টা করে এটি গ্রীষ্ককালে উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৯জুলাই২০