বিশ্বের অনেক দেশেই ফলের মাছি কুমড়া জাতীয় সবজির একটি মারাত্নক ক্ষতিকর পোকা। বাংলাদেশেও এ পোকা কুমড়া জাতীয় ফসলের অন্যতম প্রধান অনিষ্টকারী পোকা।
পোকা পরিচিতি:
ফলের মাছি পোকা দেখতে লালচে বাদামী। পিঠের উপর হলুদ রেখা আছে। স্ত্রী মাছির পেছনে লম্বা সরু নলের মতো ডিম পাড়া অঙ্গের দ্বারা সহজেই চেনা যায়। ডিম সাদা নলের মত। পূর্ণাঙ্গ কীড়া সাদা এবং স্পিং এর মত লাফ দিতে পারে। পূর্ণাঙ্গ কীড়া মাটিতে পুত্তলিতে পরিনত হয় এবং এর রং হালকা বাদামী গমের দানার মত।
অনুকূল পরিবেশ:
- উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া।
- আর্দ্রতা ৮০-৯০% বা তার অধিক।
- তাওমাত্রা ২৭-৩২ ডিগ্রি সে. এর অধিক।
- অপরিচ্ছন্ন চাষাবাদ।
ক্ষতিকর লক্ষণ:
স্ত্রী পোকা কচি ফলের খোসার নিচে ডিম পাড়ে। তাছাড়া ফুল, কচি কান্ডের গায়েও ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর ফলের গা থেকে পানির মত তরল পদার্থ বের হয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী হয়ে যায় এটা আক্রমনের প্রাথমিক চিহ্ন। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাঁস খেতে থাকে, আক্রান্ত ফল হলুদ হয়ে পচে যায় এবং অকালে ঝড়ে পড়ে। বেঁচে থাকা আক্রান্ত ফল বিকৃত হয়ে যায়।
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা:
- পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ।
- আক্রন্ত ডগা ফুল, ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা সরিয়ে ফেলতে হবে।
- উত্তমভাবে জমি চাষ দিয়ে ১-২ দিন ফেলে রাখা।
- কচি ফল পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা।
- বিষটোপ ফাঁদ (১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া+১০০মিলি পানি+ ২০-৫০ গ্রাম সেভিন পাউডার) ১০-১২ মিটার দূরে দূরে স্থাপন করতে হবে।
- সবিক্রন ৪২৫ ইসি/ফলিসিয়ন ৫০ ইসি সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।