গবাদি পশু পালন করতে অনেক জায়গার প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাঁস পালনের ক্ষেতে তেমন জায়গার প্রয়োজন হয় না। যেসব কারণে হাঁস পালনে সহজেই লাভবান হওয়া যায় তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে হাঁস পালন তুলনামূলকভাবে সহজ ও লাভজনক পেশা।
হাঁস পালন করে অনেকেই তাদের দারিদ্রতা দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। অনেকেই আবার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হাঁসের খামার গড়ে তুলছেন। আসুন জেনে নেই যেসব কারণে হাঁস পালনে সহজেই লাভবান হওয়া যায় সে সম্পর্কে-
যেসব কারণে হাঁস পালনে সহজেই লাভবান হওয়া যায়ঃ
যে কারণে হাঁস পালন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায় তা নিচে দেওয়া হল-
হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের দামের তুলনায় বেশি দামি।
হাঁসের ডিমে মুরগির চেয়ে বেশি প্রটিন থাকে।
হাঁসের খামারে এন্টিবায়টিক প্রয়োগ করা লাগে না।
হাঁসের বাচ্চার দাম মুরগির বাচ্চার চেয়ে কম।
হাঁসের প্রাকৃতিক খাদ্য মুরগির তুলনায় বেশি পাওয়া যায়।
হাঁসের মাংসের মুল্য মুরগির তুলনায় বেশি।
হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি স্বাদ।
হাঁসের ও মাছ চাষ এক সাথেই করা যায়, ফলে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
খাকি কেম্বেল হাঁস বছরে ২৯০ টি পযর্ন্ত ডিম দেয়।
ডিম পাড়া শেষে হাসের ভাল দাম পাওয়া যায়।
হাঁস পালন মুরগির চেয়ে বেশি সহজ।
হাঁসের দলকে এক স্থানে স্বচ্ছন্দে আটকিয়ে বা আবদ্ধ করে পালন করা যায়।
মুরগির তুলনায় হাঁসের রোগ- বালাই কম হয়ে থাকে।
কোনো জলাশয়ের পাড়ে টিনের চালা দিয়ে হাঁসের ঘর তৈরী করা যায়।
হাঁস সাধারন সকালের দিকেই ডিম পেড়ে থাকে। ফলে কিছুটা নিরাপদ জায়গা হলে হাঁসের ডিম হারানোর কোন ভয় থাকে না।
জলজ শেওলাজাতীয় উদ্ভিদ এবং শামুক ঝিনুক ইত্যাদি হাঁসের খুব প্রিয় খাদ্য। এসব খাদ্য হাঁস নিজের প্রচেষ্টায় গ্রহন করে বলে খাদ্য সংগ্রহে কিছুটা সাশ্রয় হয়।
হাঁসের ঘর মুরগির চেয়ে কম খরচে করা যায়।
হাঁসের বিষ্টা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
হাঁস পানিতে চরে তার খাদ্যের অর্ধেক সংগ্রহ করে বাকি অর্ধেক খাবার ঘরে দিতে হয়।
হাঁসের পায়খানা কৃষিজমির জন্যও উৎকৃষ্ট মানের সার।
হাঁসের ডিমের খোসা ও খোসার নিচের আবরন অপেক্ষাকৃত মোটা বলে হাঁসের ডিম আমাদের দেশে উষ্ণ আর্দ্র আবহাওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭জুলাই২০