বৈচি ফল এক ধরনের টক মিষ্টি ফল। এ গাছ নিচুভূমি এবং পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের উইলো পরিবার ভুক্ত বৃক্ষ। দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব্ এশিয়াতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।
অনেক অঞ্চলে এটি চাষ করার ক্ষেত্র ছেড়ে মুক্তভাবে জন্মে থাকে। এর আদি নিবাস জানা যায়নি তবে ধারনা করা হয়, এশিয়ার ক্রান্তিয় অঞ্চলে বা ভারতবর্ষে এটি পাওয়া যায়।
এটিকে বিভিন্ন ধরনের নাম রয়েছে যেমন টিপফল, লুকলুকি, পলাগোটা, পানিয়ালা, পানি আমলা পাইন্ন , পাইন্যাগুলা বেহুই ইত্যাদি।
এটি ছোট গুল্মজাতীয় গাছ যা ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছের কান্ড ও ডাল কাঁটাযুক্ত। পাতা গাঢ় সবুজ ও ডিম্বাকৃতির। পাতার অগ্রভাগ সূঁচালো এবং পাতার কিনারে খাঁজকাটা।
গাছে মার্চ-এপ্রিল মাসে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ফোটে। ফুলগুলো সাদাটে সবুজ বা বেগুনী রঙের এবং সুগন্ধ রয়েছে। ফল মার্বেলের মতো গোলাকার হয়। কাঁচা অবস্থায় ফলের রং থাকে সবুজ।
ফল পাকে জুলাই-আগস্ট মাসে এবং ফল সংগ্রহ করা যায় নভেম্বর মাস পর্যন্ত। পাকা ফল লালচে বেগুনী রঙের হয়। পাকা ফলের ভেতরটা বাদামি বা কালচে গোলাপি। ফল খাবার বিশেষ নিয়ম রয়েছে।
ফল টিপে নরম করে খেতে হয়। এ কারণেই ফলের এমন আরেক নাম টিপাফল।
উপকারিতা
হজমশক্তি বৃদ্ধি করেঃ
বৈচি পাকা ফল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এটি লিভারের রোগেও ফল উপকারী।
ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধঃ
বৈচি ফলের কচি ও ফল ডায়রিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দাঁতব্যথা সারাতেঃ
বৈচি গাছের শেকড় চিবিয়ে খেলে দাঁতব্যথা উপশম হয়ে থাকে।
জন্ডিস রোগেঃ
এই গাছের ফল শুকিয়ে মালা গেঁথে গলায় পড়লে জন্ডিস ভালো হয়।
বাত ব্যাথা হলে :
বৈচি গাছের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে বাত ব্যথা ভালো হয়।
হাত পায়ে জ্বালা পোড়া হলে :
বৈচি গাছের পাতা থেতো করে হাত পায়ে মালিশ করলে হাত পায়ের জ্বালা কমে যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১০আগস্ট২০