ধানের খোলপোড়া রোগ, যেভাবে দমন করবেন

1029

লক্ষণঃ
কুশি গজানোর সময় প্রথমে ছোট গোলকার বা লম্বাটে ধরনের ধূসর রঙের জলছাপের মত দাগ পড়ে এবং তা আস্তে আস্তে বড় হয়ে উপরের দিকে সমস্ত খোল ও পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
দাগ গুলোর কেন্দ্রস্থল খয়েরী রং এবং পরিধি গাঢ় বাদামী রঙের হয়। এ অবস্থায় খোল দেখতে কিছুটা গোখড়া সাপের চামড়ার দাগের মত দেখায়।
ইউরিয়া সার বেশি দিলে, আবহাওয়া গরম ও সেঁত-সেঁতে হলে এবং রোগ জীবাণু জমিতে থাকলে রোগ ছাড়ায়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার যথাঃ বি আর- ১০,২২,২৩, এবং ব্রি-ধান ২৯,৩২,৩৯,৪১।
ফসল কাঠার পর ক্ষেতের নাড়া পুড়ে ফেলা।
সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করা এবং ইউরিয়া ২-৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করা।
রোগ দেখা দিলে জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন রাখার পর আবার সেচ দেয়া।
চারা একটু দুরে লগানো। (২০/২০ সেমি)।
পটাশ সার ব্যবহার করা (প্রয়োজনে উপরি প্রয়োগ)।
প্রয়োজনে ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা। প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি ফলিফুর, ১ মিলি প্রোপিােকনাজল (টিল্ট ২৫০ ইসি) বা কনটাফ ৫ ইসি বা স্কোর, ১ গ্রাম কার্বেনডাজিম, নাটিভো ০.৪ গ্রাম ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯আগস্ট২০