প্রাণি ও পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলছে ভাদ্র মাস। এ সময়ে গবাদি প্রাণি ও পোল্ট্রির যত্নে বেশিই মনোযোগী হতে হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক, এ সময়ে গবাদিপ্রাণি ও পোল্ট্রির যত্নে করণীয় ও সতর্কতা গুলো।
ভাদ্র মাসের তালপাকা গরমে পোলট্রি শেডে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করতে হবে। আর টিন শেডে চটের ছালা রেখে মাঝে মাঝে পানি দ্বারা ভিজিয়ে দিতে হবে। যাতে করে অধিক গরমে মুরগিগুলো মারা না যায় এবং নানা রোগের বিস্তার না ঘটে।
ভেজা আবহাওয়া ও মাঝে মাঝে গরম পোলট্রির ক্ষেত্রে গামবোরো রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি করে। এ রোগে মুরগির পালক নিচের দিকে ঝুলে পড়ে। গা গরম ও কাঁপুনি দেখা দেয়। সাদা পানির মতো পাতলা পায়খানা দেখা যায়। মুরগি সহজে নড়ে না। এমনিতে ভাইরাসজনিত এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে আছে সতর্কতা ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশে গো খাদ্যের সমস্যা এখনও বিরাজমান। সে কারণে পতিত জমিতে নেপিয়ার, বাজরা, খেসারি, মটর, ইপিল ইপিল, গিনি ঘাস লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
যারা দুগ্ধবতী গাভী পালন এবং যারা গরু মোটাতাজাকরণ করবেন, তাদের অবশ্যই গবাদি পশুকে সুষম খাবার সরবরাহ করতে হবে।
কোনো জায়গায় যদি পানি জমে থাকে সে এলাকায় জন্মানো ঘাস গবাদিপশুকে খাওয়ানো যাবে না। কারণ এত গাভী বা গরুর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
গরু ও ছাগলকে নিয়মিত গোসল করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে অসুখ-বিসুখ কম হয়।
গোয়াল ঘরের গোবর চনা নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। আর গরুর গায়ের আঠালি, মাছি, জোঁক পোকামাকড় বেছে দিতে হবে।
তড়কা, বাদলা, গলাফুলা রোগ যাতে না হয় সেজন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা ভেটেরিনারি সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৩আগস্ট২০