আমাদের দেশের মাংসের চাহিদার সিংহভাগ পুরন করে পোল্ট্রি খাত। এই ক্ষেত্রে ব্রয়লার মুরগী একমাত্র ভরসার স্থল। সহজলভ্য তাই চাহিদাও প্রচুর। কিন্তু বাচ্চার চড়া মুল্য, খাবারের চড়া মুল্য, ঔষধের চড়া মুল্য কিন্তু মাংসের দর নিন্মগতি। তার উপর বিভিন্ন রোগ-বালাই আর মুরগির মৃত্যুহার। সব মিলিয়ে খামারিদের নাভিশ্বাস। হাজার হাজার ছোট- বড় খামার বন্ধ হয়ে আছে। অসংখ্য খামারি পুঁজি হারিয়ে, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আজ সর্বস্বান্ত। অসংখ্য খামারি বেকার বসে আছে। এই দিশেহারা অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তির আশা দেখা যাচ্ছে সোনালী মুরগীতে।
৬৫-৭০ দিনে একটি মুরগী গড়ে ২ কেজি খাদ্য গ্রহন করে। যার বাজার মুল্য গড়ে ৭৫ টাকা ( ভালো মানের খাদ্য)। ৬৫-৭০ দিনে একটি মুরগীর গড় ওজন ৭৫০-৮০০ গ্রাম হয়ে থাকে। নিয়মিত টীকা প্রদান করলে এবং খামার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখলে রোগ-বালাই আনুপাতিক হারে কম দেখা যায়। সোনালী মুরগীর মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাজার দরও বেশ ভালো। চলতি বছর অর্থাৎ ২০১৮ ইং সালের বর্তমান সময় পর্যন্ত গড়ে ১৮০-২২০ টাকা কেজি দর হিসেবে মাংসের মুরগী পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ্… যেটা খুবই সন্তোষজনক।
খামারিদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সবাই এই সোনালী পালন করে মোটামুটি ভাল প্রফিট করছে। সোনালি মুরগীর জাতটি পোল্ট্রি শিল্পে আসার আলো সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। আমার উপরোল্লিখিত আলোচনায় অভিজ্ঞজনদের সহমত বা দ্বিমত থাকতে পারে অথবা অসঙ্গতি বা ত্রুটি থাকলে নিশ্চয়ই শেয়ার করবেন। তাতে আমি সহ সকল আগ্রহী খামারিগন উপকৃত হবেন। সকলের জন্য শুভকামনা।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৬আগস্ট২০