ফার্মে মাছি ও ইঁদুর ,মশা,জোক কেন হয়, কি কি রোগ ছড়ায় ও করণীয়

996

ফার্মে মাছি ও ইঁদুর ,মশা,জোক কেন হয়, কি কি রোগ ছড়ায় এবং করণীয় (বিস্তারিত)

মাছি কিভাবে ক্ষতি করে;

#খামারে_অত্যাধিক_মাছি_হবার_কারনঃ
১. মাছি ১৬-৪০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার মাঝে ভাল বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ১২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নীচে এদের বংশবৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে এরা সক্রিয় হয় এবং বংশবৃদ্ধি ঘটায়।

তবে ৪৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপর তাপমাত্রায় মাছির ডিম ও লার্ভা মারা যায়।

২. লিটার অব্যবস্থাপনাঃ ভেজা, স্যাঁতস্যাতে লিটার। দলা পাকানো লিটার।
পুরাতন লিটার খামারের পাশে রাখা।
পূর্বের ফ্লকের লিটার নতুন ফ্লকে ব্যবহার করা।
লিটার ট্রিটমেন্ট না করে ব্যবহার করা।
নিয়মিত লিটার উলোট-পালোট না করা।

৩.বর্ষাকালে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশী থাকার কারনে লিটার সহজেই স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। যা মাছি উৎপাদনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।

৪. খামারের কাছাকাছি পচনশীল বস্তু থাকলে। যেমনঃ মরা মুরগী খামারের কাছাকাছি ফেলে রাখলে, বিভিন্ন ফলের খোসা, ফলের অবশিষ্টাংশ খামারের কাছাকাছি ফেললে মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়।

৫. মুরগীর পায়খানা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে।

৬. মুরগী পাতলা পায়খানা করলে খামারে মাছি বেড়ে যায়।

৭.কক্সিডিওসিস হলেও খামারে মাছি বেড়ে যেতে পারে।

১. মাছি বিভিন্ন রোগের ভেক্টর বা বাহক হিসেবে কাজ করে।

২. রানীক্ষেত, ফাউল পক্স, সালমোনেলোসিস, ই-কোলাই ইনফেকশন, এন্টারাইটিস, লিউকোসাইটোজেনোসিস ইত্যাদি।

৩. কক্সিডিওসিসের জীবানু বহন করতে মাছি সাহায্য করে। এমন কি খাঁচায় পালন করা লেয়ার মুরগীতেও মাছির কারনে কক্সিডিওসিস হতে পারে।

৪. ফিতা কৃমি বা টেপ ওয়ার্ম ইনফেস্ট্রেশনের জন্যও মাছি দায়ী।

৫. ফার্মের বায়ো-সিকিউরিটির জন্যও মাছি হুমকিস্বরূপ।

৬. অনেক সময় ব্রয়লার বা লেয়ারের ভেন্ট বা পায়ু পথে ঘা হতে দেখা যায় এবং পরে সেখানে পোকা হয়ে যায়। এর জন্যও মাছি দায়ী। মাছি পায়ু পথে গিয়ে ডিম পারে। পরে ডিম থেকে লার্ভা ও পোকা সৃষ্টি হয়।

৮. অত্যধিক মাছি লেয়ার মুরগীতে বিরক্তির কারন হতে পারে। এর ফলে ডিম উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে।

#মাছির থেকে বাঁচতে করনীয়ঃ
ক. ব্যবস্থাপনাগত প্রতিরোধঃ
১. লিটার পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে লিটার দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।

২. মৃত মুরগী খামার থেকে দুরে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।

৩. মুরগীর পায়খানা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

৪. খামারের চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। এবং নিয়মিত চুন, ব্লিচিং পাউডার ও জীবানু নাশক ব্যবহার করতে হবে।

৫. মাছির উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং তা ধ্বংস করতে হবে।

৬. পূর্বের ব্যাচের লিটার খামারে আশে পাশে না রেখে দুরে কোথাও ফেলে আসতে হবে।

খ. ক্যামিক্যাল ট্রিটমেন্টঃ
১. খামারের চারপাশে তারপিন তেল স্প্রে করতে পারেন। এটা মাছি তাড়াতে সাহায্য করবে।

২. ইনসেক্টিসাইড সম্বলিত বিভিন্ন প্রিপারেশন পাওয়া যায়। যেমনঃ SI Fly Trap-G, No Kroach ইত্যাদি। এগুলো নির্দিষ্ট মাত্রায় খামারের চারপাশে ছিটিয়ে দিলে মাছি (প্রাপ্তবয়স্ক) মারা যায়।

৩. (Cyromazine)(লার্ভাকিল,লার্ভোজিন ও লার্ভাডেক্স ১গ্রাম ১কেজি খাবারে ১৫ -৩০দিন) সম্বলিত বিভিন্ন প্রিপারেশন আছে।এগুলো ব্যবহার করলে মাছির ডিম ও লার্ভা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

লবণ এবং ব্লিচিং পাউডার লিটারে দেয়া যায়

ন্যাপথালিন

নিম পাতা গুড়া করে লিটারে দেয়া যায়

রসুন

রসুন পেস্ট করে রস পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

লেবু এবং লবংগ

লেবু কাটার পর লেবুর ভিতরের লবংগের মাথাটা বাহিরে রেখে ঢুকিয়ে দিয়ে সেডের বিভিন্ন জ্যাগায় রেখে দিতে হবে।

পুদিনা পাতার রস

ইদুর;

##ইঁদুরের_অপকারিতাঃ

a. রোগ বিস্তার
b. অর্থনৈতিক ক্ষতি

রোগ_বিস্তারে_ইঁদুরঃ
১.

Camphylobacteriosis
Mycoplasmosis
Infectious Coryza
Pasteurellosis
Hemorragic Enteritis
ND
LPAIV
HPAIV

Salmonellosis
Colibacillosis

২. কৃমি

Capillariasis

Ascariasis
Hymenolepiasis

৩. উঁকুন

Tick infestation
Mite infestation
Flea infestation

৪. খামারের বায়োসিকিউরিটির জন্য ইঁদুর সবচেয়ে বড় হুমকি।

#অর্থনৈতিক_ক্ষতিঃ
১. ইঁদুরের চলাচলের শব্দে মুরগী ভয় পেতে পারে ফলে মুরগীর ডিম উৎপাদন কমে যেতে পারে।

২. প্রতিটি ইঁদুর দৈনিক প্রায় ৩০ গ্রাম করে খাদ্য খেতে পারে। তাছাড়া এরা প্রচুর খাদ্য নষ্ট করে ও খাদ্যের উপর বিষ্ঠা ও মুত্র ত্যাগ করে খাদ্য দূষিত করে। ইঁদুর তাদের খাবারের চেয়ে ৫ গুন খাদ্য নষ্ট করে।

৩. । ইলেকট্রিক ক্যাবল, পানির পাইপ, ঘরের মেঝে ইত্যাদির ক্ষতিসাধন করে খামারের খরচ বাড়িয়ে দেয়।

৪. ইঁদুর ছোট মুরগীর বাচ্চাকে মেরে ফেলে ও ডিম খেয়ে ফেলতে পারে।

#খামারে_ইঁদুরের_সংখ্যা;
ইঁদুরের প্রজনন ক্ষমতা অত্যাধিক। এরা ২-৩ মাসেই প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে।

স্ত্রী ইঁদুরের গর্ভধারন কাল মাত্র ২১-২৫ দিন। এবং এরা একসাথে ৮-১০ টা বাচ্চা প্রসব করে। স্ত্রী ইঁদুর বছরে প্রায় ১২ বার বাচ্চা প্রসব করার ক্ষমতা রাখে।

বাচ্চা মারা যাবার পরেও একটি স্ত্রী ইঁদুর থেকে বছরে ৬০-৭০ টি বাচ্চা পাওয়া যায়।

১. যদি খামারে ইঁদুর চোখে না পড়ে কিন্তু ইঁদুরের কোন চিহ্ন যেমন পায়খানা দেখা যায় তাহলে ১-১০০ টি ইঁদুর আছে।

২. যদি খামারে রাতে মাঝে মাঝে ইঁদুর দেখা যায় তাহলে খামারে ১০০-৫০০ টা ইঁদুর আছে।

৩. যদি প্রতি রাতে ও মাঝে মাঝে দিনেও ইঁদুর দেখতে পান তবে এটা নির্দেশ করে আপনার খামারে ৫০০-১০০০ টা ইঁদুর আছে।

৪. যদি প্রতিরাতে ও দিনের বেলাও ইঁদুর দেখতে পান তবে এটা নির্দেশ করে আপনার খামারে ৫০০০ এর উপর ইঁদুর আছে।

#ইঁদুর_নিধনে_করনীয়ঃ

#অবকাঠামোগতঃ
ক. ইঁদুর যাতে কোথাও বাসা বাঁধতে না পারে সেভাবে শেড নির্মান করতে হবে। সিলিং এর উপড়ে যাতে ইঁদুর প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শেডে সিলিং পার্মানেন্ট ভাবে না বানানো ভাল। সিলিং যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করা যায় এমন ভাবে বানানো উচিত।

২. ঘরের মেঝে পাকা করে বানানো উচিত যাতে ইঁদুর গর্ত করতে না পারে। শুধু ঘরের ভিতরের মেঝে নয় ঘরের বাইরে চারপাশ জুড়ে ১.৫-২ ফিট পাকা করে দিতে হবে।

৩. ঘরের দরজা, জানালা, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি ছিদ্রবিহীন হতে হবে।

৪. পোল্ট্রি খাদ্য মেঝেতে না রেখে মাচা বানিয়ে রাখতে হবে। এবং চতুর্দিকের দেয়াল থেকে একটু সরিয়ে রাখতে হবে।

#স্যানিটেশনঃ
১. খামারের চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খামারের চারপাশে প্রায় ৩ ফুটের মাঝে কোন ঝোপ-ঝাড় রাখা যাবে না। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।

২. খামারে আশেপাশে কোন গর্ত রাখা যাবে না। গর্ত থাকলে তা মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে

#ফাঁদঃ
১. ইঁদুর ধরার জন্য বিভিন্ন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। যে সমস্ত স্থানে ইঁদুরের উৎপাত বেশী (খাদ্য রাখার স্থান, গর্তের মুখ), সে সব স্থানে ফাঁদ বশিয়ে ইঁদুর ধরা যেতে পারে।

২. ঘরের ভিতরে ও বাহিরে প্রতি ৫০-১০০ ফুট দুরে দুরে ফাঁদ পেতে রাখতে হবে। এবং নিয়মিত ফাঁদ গুলোর অবস্থান পরির্বতন করে দিতে হবে।

#বিষ_প্রয়োগঃ
বিষ প্রয়োগেও ইঁদুর মারা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পোল্ট্রি খাদ্য, রুটি, ধান, গম ইত্যাদির সাথে বিভিন্ন রকমের বিষ বা Rodenticide মিশিয়ে ইঁদুরের গর্ত সহ যেখানে এদের চলাচল বেশী সে সব স্থানে রেখে দিতে হবে।

সাধারনত দু’ধরনের Rodenticide পাওয়া যায়।
ক. Anticoagulant:
এগুলো রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে ইঁদুর অন্তঃ রক্তক্ষরনের কারনে মারা যায়।
যেমনঃ
১. Chlorophacinone
৪. Warfarin
৫. Brodifacoum
৬. Bromadiolone(রোমা ইয়ন কোম্পানী)

খ. Non-Anticoagulant:
১. Bromethalin:
এটি একটি neurotoxic agent. এটি central nurvous system কে depressed করে। ফলে ইঁদুর paralysis এ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

২. Cholecalciferol:
এটা মুলত ভিটামিন ডি৩। যা ইঁদুরের জন্য Toxic. এটি রক্ত ক্যালসিয়ামের পরিমান বাড়িয়ে দেয় যার ফলে দেহে স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধা পায় ও মৃত্যু ঘটে।

৩. Zinc phosphaid:
ইঁদুর মারা বিষ হিসেবে এটা বহুল ব্যবহৃত হয়। যখন এই বিষ ইঁদুর খায় এটা ইঁদুরের পাকস্থলীতে বিদ্যমান HCl এসিডের সাথে যুক্ত হয়ে Phosphine গ্যাস নির্গত করে। ফলে paralysis, convulsion, coma সর্বোপরি অক্সিজেনের অভাবে ইঁদুরের মৃত্যু ঘটে।

লোকাল ব্যবস্থাপনা

যদি খড়ে ইঁদুর হয়

কালিজিরা ও লবণ স্তরে স্তরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

গোল মরিচ ছিটানো যেতে পারে।

বিড়াল পালা যেতে পারে।

ফাঁদ দেয়া

পিঁপড়া হলে মসলা লং দিবেন

জোঁক হলে

ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিতে হবে।

তুঁতে ১গ্রাম ১লিটার পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।

খামারে মশা ও মাছি তাড়ানোর অর্গানিক পদ্ধতিঃ

খামারে মশা ও মাছি তাড়ানো বাধ্যতামূলক আমাদের জন্যে।এদিকে শতকরা ৮০ ভাগ খামারীর কনোই নজর বা সচেতনতা নাই।কারন মশা ও মাছি হাজারটা রোগের বাহক।তাছাড়া পশুকে রাতে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি না করে দিলে দুধ ও মাংসের উৎপাদন কম হবে।তাই বছরে আপনার মশা তাড়াতে কতো টাকা ব্যায় হচ্ছে।তাছাড়া কয়েলে রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতি রয়েছে,অনেক সময় কয়েল থেকে আগুন লেগে খামার পুড়ে ছাই হতে পারে।

যাই হোক আপনি সহজেই মশা ও মাছি তাড়াতে নিচের পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

(১)ধোঁয়া সৃষ্টি করে এমন শুকনা জিনিস যেমনঃকাঠের গুড়ো/কোকো পিট/শুকনা খড় বা কাঠ/শুকনা গোবর।যার যেটা সুবিধা হয়।
(২)শুকনা নিম পাতা/পুদিনা পাতা/চা পাতা।গুড়ো করে আগুনে জালিয়ে ধোঁয়া তৈরী করতে পারলে হলো মশার পালিয়ে যাবে।

আর যদি লিকুয়িড তরল স্প্রে করতে চান তবে রসুনকে বেটে ভালোভাবে গুলিয়ে পশুর শরীরে ও খামারের আশে পাশে স্প্রে করে দিন মশা পালিয়ে যাবে।কর্পুর গুলিয়ে স্প্রে করলেও মশা পালিয়ে যাবে।

মাছি তাড়াতে অর্গানিক পদ্ধতি ব্যবহারঃকমলা লেবুর খোশার শুকনা/পুদিনা পাতা/লবংগ মশলার গুরা/খামারের আশে পাশে ছিটিয়ে দিন।
অথবা কর্পুর গুরো করে ধোঁয়া দিন খামারে মাছি আসবেনা।অথবা গোল মরিচ গুরো করে পানিতে গুলিয়ে স্প্রে করুন মাছি আসবেনা।
যেটা আপনার সহজ হবে সেটা করবেন।

collected
পুকুর পাড় ও ঘর ইঁদুরের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে করনীয়!!

গত কয়েকদিনে মাছ চাষি ভাইয়েরা জানিয়েছেন ইঁদুরের অত্যাচারে তারা অতিষ্ট, পুকুরের পাড় গুলো ইঁদুর নষ্ট করের প্রতি বছর, আজ এক ভাই একই সমস্যার জন্য ম্যানশন করেছেন, নতুন পুরনো, মূল্যবান কিংবা সস্তা যাই হোক সব জিনিস সহজেই অচল করে দেয় ইঁদুর।সুযোগ পেলে ইঁদুর আপনার ক্ষতি করতে ছাড়বে না। তাই ইঁদুরকে প্রশ্চয় দেয়ার কিছু নেই। তাই ভাবলাম ইঁদুরের উপর একটি পোস্ট দেয়া যেতে পারে যাতে সবাই উপকৃ্ত হয়-
যা করবেন
১) ইঁদুর পুদিনার পাতা, পুদিনার তেল ও মেন্থলের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারে না। তাই যদি ইঁদুর কে আপনার পুকুর পার থেকে বাইরে রাখতে চান তাহলে পুকুর পারের প্রতিটা কোণা ও ইঁদুর থাকার জায়গাগুলোতে পুদিনা পাতা রেখে দিন।

২) আপনার পুকুরের আশেপাশে যাতে ইঁদুর ঘোরাঘুরি করতে না পারে এর জন্য পুকুরের পারে চারপাশে পুদিনা গাছ লাগান।

৩) ইঁদুর থেকে মুক্তি পাওয়ার সব থেকে সহজ ও কার্যকর উপাদান হচ্ছে মানুষের চুল। চুল মুখে গেলে বা পায়ে জড়িয়ে গেলে ইঁদুরের মৃত্যু অবধারিত। তাই ইঁদুর তাড়াতে রাতের বেলা আপনার ঘরের মেঝেতে ও ইঁদুরের প্রিয় জায়গাগুলোতে চুল ফেলে রাখতে পারেন।

৪) ইঁদুর সমূলে মারতে অ্যামোনিয়া কাজে লাগাতে পারেন। কোন ইঁদুর যদি একবার অ্যামোনিয়ার ঘ্রাণ নেই তাহলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। আপনার পুকুরের পারের ইঁদুরের আনাগোনা বেশী হওয়া জায়গাতে তরল অ্যামোনিয়া দিয়ে রাখুন।

৫) শুনে হাসি আসলে ও আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে যে ইঁদুর মারতে শুকনো গোবর খুব কাজের। কোন ইঁদুর যদি শুকনো গোবর খেয়ে ফেলে তবে তার মৃত্যু ঠেকানো যাবে না।

৬) ইঁদুর মারতে গোল মরিচের জুড়ি নেই। আপনার বাড়ির ইঁদুরের বাসস্থানে গোল মরিচ রেখে দেখুন ইঁদুর মরবেই। গোল মরিচের কটু গন্ধে শ্বাস নেওয়াতে ইঁদুরের ফুসফুসে আঘাত লাগায় এরা মারা যায়।

৭) ইঁদুর মারতে আপনি আপনার সু-পরিচিত মসলার অন্যতম উপাদান পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারে। ইঁদুরের গর্তের মুখে পেঁয়াজ কেটে রেখে দিন আর এতেই কাজ হয়ে যাবে।

৮) ২-৩ টি জ্যান্ত ইদুর ধরে ইদুরের পায়খানার রাস্তা বন্ধ করে ছেরে দিন, বাদ বাকি কাজ উরাই করে দিবে আপনার ভাবতে হবেনা, এই ইদুর পাগল হয়ে সব ইদুরকে কামরাবে আর সব ইদুর এই ইদুরের ভয়ে পুকুর থেকে পালাবে

৯) জিঙ্ক ফসফাইড শুটকী আর গমের সাথে মিশিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় দিন কাজ হয়ে যাবে,

১০) তেজপাতার ব্যবহার
তেজপাতা খুবই উপকারী একটি মসলা যা প্রত্যেকের ঘরেই রয়েছে। এই উপকারী মসলাটিও ইঁদুর থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন অনায়েসেই। তেজপাতাকে ইঁদুরেরা নিজেদের খাবার মনে করে। কিন্তু তেজপাতা খাওয়ার পর তারা এটি হজম করতে পারে না একেবারেই। তেজপাতা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখুন উপদ্রবের
স্থানগুলোতে কিছুদিনের মধ্যেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।

১১) পিপারমিন্ট অয়েল
ইঁদুর পিপারমিন্ট অয়েল গন্ধ সহ্য করতে পারে
না, সেই সাথে পিপারমিন্ট অয়েলও অনেক কার্যকরী। এগুলর গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল একটি তুলোর বলে লাগিয়ে ইঁদুরের উপদ্রবের স্থানে রাখলে বা ঘরে এমনিতেই ছড়িয়ে রাখলে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে সহজেই
মুক্তি পেতে পারেন। যদি ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল না থাকে তাহলে,
পুদিনা পাতা ছেঁচে অলিভ অয়েলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করতে পারেন।

১২) জৈবিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন
শিয়াল, বেজি, বনবিড়াল, গুঁইসাপ, পেঁচা ইত্যাদি প্রাণী ইঁদুর মেরে থাকে। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এদের সংরক্ষণ ও বংশবিস্তারের সুযোগ করে দিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই ইঁদুর দমন করতে হবে,

১৩) ইঁদুরের গর্তে মরিচ পোড়ার ধোঁয়া দিয়ে ইঁদুরকে মারার ব্যবস্থা করা;

১৪) গরম পানিতে গুরা মরিচ মিশিয়ে ইঁদুরের গর্তে দিন, কাজ হয়ে যাবে,

ইঁদুর আপনার সর্বনাশ করার আগেই ইঁদুরের সর্বনাশ করতে এই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২সেপ্টেম্বর২০