শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর সুপারফুড কিনোয়া-১ জাত উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কিনোয়া দানা পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতীয় বীজ বোর্ড (এনএসবি) অনিয়ন্ত্রিত ফসলের জাত নিবন্ধনের আওতায় উদ্ভাবিত এ জাতটি নিবন্ধন দিয়েছে। সাউ কিনোয়া-১ (SAU-Quinoa-1) নামে নতুন এ জাতটি নিবন্ধিত হয়। জাতটির নিবন্ধ নম্বর ০৫(৪৬)-০১/২০২০।
খরা ও লবণাক্ত অঞ্চলসহ সারাদেশে রবি মৌসুমে এ ফসলটি চাষ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষক অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস।
কিনোয়ার বৈজ্ঞানিক নাম Chenopodium quinoa ফসলটি Amaranthaceae পরিবারভুক্ত একটি দানাশস্য। এতে রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। রয়েছে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড।
ফসলটির পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ থেকেই ল্যাটিন আমেরিকাভুক্ত দেশে দানা, ফ্লেক্স, পাস্তা, রুটি, বিস্কুট, বেভারেজ হিসেবে কিনোয়া ব্যবহার করে আসছে।
বর্তমানে উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ভারতসহ ৯৫টিরও অধিক দেশে কিনোয়া চাষাবাদ হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, আমার জানামতে বাংলাদেশে আর কেউ এটা নিয়ে কাজ করেনি। প্রায় তিন বছর যাবত আমি এটা নিয়ে কাজ করছি। আমার কয়েকজন এমএস শিক্ষার্থীও এতে অংশগ্রহণ করেছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় বীজ বোর্ড এটার অনুমোদন দেয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২অক্টোবর২০