অবশ্যই কার্যকরী কিন্তু একক ইউরিয়ায় না। ইউরিয়ার সাথে টিএসপি অবশ্যই দিতে হবে। কারণ হচ্ছে ফাইটোপ্লাংক্টন হচ্ছে উদ্ভিদ জাতীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা; যেটির পুষ্টি হিসাবে দুইটারই দরকার। কেউ যদি শুধু ইউরিয়া দেন তাহলে বিশেষ ধরনের ফাইটোপ্লাংক্টন তৈরি হয় যা কিনা বেশীরভাগই ভাসমান এবং ‘দন্ডাকৃতি’ ! এ অবস্থায় পানির উপর-নীচ সব জায়গাতে বিরাজ করে না! শুধু ইউরিয়া প্রয়োগে সৃষ্ট এই ফাইটোপ্লাংক্টন এর সবগুলি মাছ খাদ্য হিসাবে খায়ও না।
বিশেষ করে দন্ডাকৃতি ফাইটোপ্লাংক্টন গুলি “চিংড়ী”র ফুলকায় আটকে গিয়ে চিংড়ি মারা যাওয়ার কথা বলা হয়!
আবার এই ফাইটোপ্লাংক্টন গুলি খাবার হিসাবে গৃহীত না হওয়ায় এক সময় বিষাক্তও হয়ে যায়!
আবার কেউ কেউ পরিমান নির্ধারন করতে না পারায় উভয় প্রকার সারের পরিবর্তে শুধু ইউরিয়া দিয়েই মোট প্রয়োজনটি সারতে চান;
এই খানেই বাধে বিপত্তি!
যদি ওভারডোজ ইউরিয়া দিয়ে ফেলেন আর আল্লাহ না করুন “তাপ মাত্রা” যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে “এ্যামোনিয়া টক্সিসিটি” হয়েও মাছ মারা যেতে পারে! আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, রাসায়নিক সার দিলে বুঝি ফাইটোপ্লাংক্টন এবং জুও প্লাংক্টন দুই প্রকারেরই খাদ্য কণা তৈরি হয়! এটা একটা ভুল ধারনা! মনে রাখবেন জুওপ্লাংক্টন তৈরির জন্য অবশ্যই জৈব সার অথবা জৈব পদার্থ প্রয়োগ করতে হবে।
অবশ্য ফাইটোপ্লাংক্টন এর ‘পুরুত্ব’ বাড়ানোর জন্য অবশ্যই “মিউরেট অব পটাশ”ও ব্যবহার করতে হবে।
রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে যে মাত্রায় করতে হবে
সপ্তাহে শতকে
*ইউরিয়া- ৫০-৭০ গ্রঃ
*টিএসপি- ৫০-৭০
* পটাশ ১০-২০ গ্রাম
খেয়াল রাখতে হবে যে, সব কিছুতেই যেমন একটা ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপার আছে তেমনি পুকুরে ফাইটোপ্লাংক্টন তৈরির জন্য রাসায়নিক সারেরও সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলেই যেমন সঠিকভাবে প্রয়োজন মিটবে; সেই সাথে অহেতুক অর্থ ব্যয় কিংবা ক্ষতি গ্রস্থ হবার সম্ভাবনাও থাকবে না!
লেখক: কাজি আবেদ লতিফ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২অক্টোবর২০