সংকল্প, সাহস আর পরিশ্রমে যে অনেক কিছুই সম্ভব, তা বাস্তবে করে দেখিয়েছেন সালমা আক্তার। নারীদের সামনে এখন তিনি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কৃষিতে তার সাফল্য ঈর্ষণীয়।তার তরমুজ বাগানের চোখ ধাঁধাঁনো ফলন, তারই সাক্ষ্য বহন করছে।
২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে তরমুজ চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অন্যের ১০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে চাষ করেন বারোমাসী জাতের তরমুজ। এতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এরইমধ্যে পাঁচ থেকে ছয়শ তরমুজ বিক্রির উপযোগী হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি।
সালমা আক্তার আশা করছেন, লক্ষাধিক টাকার ওপরে বিক্রি হবে। আর এসব তরমুজ বিক্রি করতে তার কোনো সমস্যাও হয় না।
এরই মধ্যে অনেকে তরমুজ কিনতে ভিড় করছেন বাগানে। কেউ আবার চাষ পদ্ধতি শিখতে যাচ্ছেন সালমার কাছ থেকে। এলাকার অন্য কৃষকও বারোমাসি তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে এখন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল হাসান আলামিন বলেন, “এ বছর প্রায় ২০ বিঘা জমিতে এ তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর বাজার মূল্য অনেক বেশি। একেক্টার গড় ওজন আড়াই থেকে ৩ কেজি।”
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭অক্টোবর২০