ফার্ম মালিকের কি কি বিষয়ের খেয়াল রাখতে হয়
প্রতিদিন খাবার ও পানির হিসাব নিতে হবে
মুরগি অসুস্থ কিনা বা মারা গেলে তা ডাক্তার কে জানাতে হবে।
রাত্রে খাবার পাত্র ও পানির পাত্র পরিস্কার করতে হবে যাতে ইদুর না আসে।
ফুট বাথ ব্যবহার করে কিনা খেয়াল রাখতে হবে
দিনে ২ বার মিনিমাম ১বার জীবাণুনাশক দিতে হবে।
লিটার ভিজা বা দলা পাকানো আছে কিনা দেখতে হবে যদি থাকে তাহলেলিটার চালতে হবে বা নতুন লিটার দিতে হবে এমন কি চুন দেয়া লাগতে পারে
প্রতিদিন লিটার উলটে পালটে দেয় কিনা তবে তা খাবার ও পানির দেয়ার আগে করতে হবে,সকালে ও রাতে বা শুধু সকালে
খাবার পাত্র ও পানির পাত্র পরিস্কার কিনা,পানির পাত্র দিনে ২বার অবশ্য ই পরিস্কার করতে হবে .১বার ব্লিচিং পাউডার আরেক বার সাদা পানি দিয়ে করা ভএল
পানির পাত্রে ফুটো /লিক আছে কিনা দেখতে হবে
খাবার ও পানির পাত্র পর্যাপ্ত আছে কিনা এবং সঠিক উচ্চতায় আছে কিনা খাবার পাত্র ক্রপ বরাবর আর পানির পাত্র পিঠ বরাবর করা উচিত।
পানিতে জীবাণূ নাশক দেয়ার ক্ষেত্রে কন্টাক টাইম মেনে চলে কিনা,পানিতে জীবাণু নাশক দেয়ার দেয়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করে তারপর মুরগিকে দিতে হবে প্রায় ২০-৩০ মিনিট পর দেয়া উচিত,ফিটকিরি হলে কয়েক ঘ ন্টা রেখে দিতে হয়।
ফার্মে আল বাতাস ঠিক মতে পড়ে কিনা দেখতে হবে
কত দিনের খাবার আনা হয়েছে এবং কতদিন পর শেষ হবে তা জানা উচিত
নিজে বানানো লোজ ফিড ১-৩দিনের বেশি রাখা ঠিক না
কোম্পানীর ফিড শীতকালে ১০দিন আর গরম কালে ৭দিনের বেশি আনা ঠিক না
বয়স অনুযায়ী ওজন ও খাবার ঠিক আছে কিনা এবং সে অনুযায়ী জায়গা দেয়া হয়েছে কিনা
মুরগির পায়খানার কালার,গঠন ও ঘনত্ব ঠিক আছে কিনা
মিনিমাম ১% মুরগির ওজন নিতে হবে
প্রতিবার খামার পরিদ্ররশনে গেলে ফিড স্টোর রুম দেখতে হবে ।আলো বাতাস ঢুকে কিনা ,কি পরিমাণ খাবার আছে তা দেখতে হবে
মেডিসিন ও জীবাণু নাশকের স্টক দেখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মেডিসিন এর অর্ডার দিতে হবে
মেডিসিনের ডোজ ঠিকাছে কিনা দেখতে হবে
রেক্ররড কিপিং দেখতে হবে সেখানে প্রতিনের কাজ লিখে রাখে কিনা
ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে এফ সি আর বের করতে হবে
মুরগির বিক্রির পর লাভ লসের হিসাব করতে হবে
ব্রুডিং কালে কি কি খেয়াল রাখতে হবে।
ব্রুডার ঘরের তাপমাত্রা চেক করতে হবে
ঘরে আলোর তীব্রতা ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে
১০০০ মুরগির জন্য ৯ওয়াটের ৩টা বাতি দিলেই হবে
ঘরে এমোনিয়া হচ্ছে কিনা দেখতে হবে যদি গ্যাস হয় তাহলে পর্দা তুলে বের করে দিতে হবে
প্রতি বাচ্চাকে ০.৩ বর্গফুট জায়গা দেয়া উচিত ৩দিন পরের ৪দিন ০.৪ব্ররগফুট দিতে হবে
খেয়াল করতে হবে বাচ্চা গুলো খাবার ও পানি খাচ্ছে কিনা,ক্রপ টেস্ট করতে হবে
পেপার গুলো ভিজে গেলে পরিবর্তন করতে হবে
প্রতিবার খাবার দেয়ার সময় যাতে শব্দ করে দেয় এতে বাচ্চা খাবে ভাল
বাচ্চাকে মেডিসিন গুলো ঠিক মত দিচ্ছে কিনা
চার দিন বয়স থেকে লিটার উলটে পালটে দিতে হবে
ভ্যাক্সিন গুলো নির্দিস্ট সময় দিচ্ছে কিনা দেখতে হবে
স্টাটার থেকে গ্রোয়ার আবার গ্রোয়ার থেকে ফিনিশারে যাবার সময় মিক্স করে খাবার দিতে হবে।লেয়ারের ক্ষেত্রেও এই নিয়মে দিতে হবে।
রেকর্ড কিপিং/রেজিস্টার
খামারির নাম,ঠিকানা,মোবাইল,ফ্লক নাম্বার,সেড নাম্বার,মুরগির সংখ্যা্,ব্যাচ নাম্বার,ব্রিডের নাম এই গুলো কভার পেজে থাকবে।
বাচ্চা ও খাবার কোম্পানি নাম
বাচ্চার ১ম দিনের ওজন
উপরে সেডের বর্ণনা দেয়া যায়,দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতা,খাচা,মাচা,লিটার।নিপল লাইন,নরমাল।
১ম কলামে তারিখ ,বয়স( সপ্তা ও দিন),মুরগির সংখ্যা(মৃত মুরগি ও বর্তমান মুরগি,খাদ্য গ্রহণ (কেজি,গ্রাম/বার্ড)।পানির পরিমাণ,মুরগির ওজন,ডিম উতপাদন ও বিক্রয়(ডিম%,বিক্রিত ডিম,দাম)মেডিসিন ও টিকা।
৭দিন পর গড় ওজন বের করার জন্য জায়গা রাখতে হবে।পরে নিচে থেকে আবার ৮ তারিখ দিয়ে শুরু করতে হবে।
এভাবে প্রায় ১০০ সপ্তাহের ১ক্টা রেজিস্টার থাকতে হবে।সাথে ভ্যাক্সিন সিডিউল ও লাইটিং সিডিউল দেয়া থাকলে ভএল হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৯অক্টোবর২০