.খামারিদের প্রতিনিয়ত লস করা থেকে বের হতে হলে আপাতত খামারিদের করনীয় কি?
এই বিষয়ে আমি আমার চোখে যা দেখছি, মানুষ দুধ, ডিম, মাংস সবই খাচ্ছে এবং ভালো দাম দিয়েই খাচ্ছে কিন্তু খামারিরা তাদের উৎপাদিত পন্যের সঠিক দাম পাচ্ছেনা। এগ্রো সেক্টরের অদৃশ্য একটি শক্তি আছে যারা রেডি মুরগীর বাজার নিয়ন্ত্রন করে। ফিডমিল, হ্যাচারি মালিকেরা খাদ্য, বাচ্চার দাম নিজেরা নির্ধারন করে, কিন্তু অত্যন্ত তাজ্জবের বিষয় খামারিরা তাদের উৎপাদিত পন্যের দাম নির্ধারণ করতে পারেনা। যতদিন খামারিরা তাদের উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংস বা মুরগির দাম নির্ধারণ করতে না পাড়বে ততদিন খামারিরা সুফল পাবেনা। মুলত বাংলাদেশের এগ্রো সেক্টর একটি নীতিমালাহীন সিন্ডিকেট মুলক ব্যবসা। আর এই সিন্ডিকেট সবসময় ধরা ছোয়ার বাইরেই থাকে। বর্তমানে খামারিদের লস হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ উৎপাদিত পন্য ভোক্তা পর্য্যায়ে দাম মুটামুটি থাকলেও খামারি পর্য্যায়ে দাম কম পাওয়া।
এক্ষেত্রে করনীয় সরাসরি ভোক্তা পর্য্যায়ে কিছু পন্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এছাড়া খাবার, বাচ্চা, ওষুধসহ উৎপাদন সামগ্রীর দাম বেশী, সরকারি ভাবে সঠিক নজরদারি না থাকায় ফিডমিল মালিকেরা ইচ্ছামত দাম বাড়াচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নিজেরা কিছু খাদ্য তৈরি করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও খামার করতে গেলে বিদ্যুৎ বিল বেশী দিতে হচ্ছে।
এককথায় সবার সব ঠিক আছে শুধুমাত্র প্রান্তিক খামারি যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করে তাদের কোনো মূল্যায়ন নেই।
এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে খামারিদের একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। শুভ কামনা সবার জন্য।।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭নভেম্বর২০২০