মুরগির লালা ঝরে মারা যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা

1856

ঠাৎ দেখছেন মুরগীর মুখ চোখ ফুলে গিয়ে মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। এভাবে কয়েকদিন থাকার পর মুরগি মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় খুব দ্রুত এর সমাধান দরকার। আসুন জেনে নিই মুরগির লালা ঝরে মারা যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা।

মুরগির লালা ঝরে মারা যাওয়ার চিকিৎসা: ট্রিমাভেট সাচপেনশন=২ লিটার পানিতে ১ এম এল ট্রিমাভেট সাচপেনশন মিশিয়ে মুরগীকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে।

মুরগির লালা ঝরে মারা যাওয়া রোগের কারণ ও চিকিৎসা শিরোনামে সংবাদের তথ্য দেশি মুরগি পালন রোগ ও চিকিৎসা থেকে নেওয়া হয়েছে।

মুরগির ঘাড় বাঁকা রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

মুরগির ঘাড় বাঁকা রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ।এটি লিম্ফোপ্রোলিফারেটিভ রোগ।এ রোগকে ফাউল প্যারালাইসিসও বলা হয়ে থাকে। বিশ্বের অনেক দেশেই এ রোগ হয়ে থাকে। আমাদের দেশেও এ রোগ হয়ে থাকে তবে তা সাধারণত উন্নতজাতের মুরগিতেই দেখা যায়।মুরগির ঘাড় বাঁকা রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার লিখেছেন ডা: আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সাইদুল হক।

সব বয়সের মুরগিতেই এ রোগ হতে পারে তবে প্রধানত ২-৫ মাসের বাড়ন্ত মুরগি এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। আক্রান্ত মুরগির বহিরাভাগের স্নায়ু এবং অনেক সময় গোনাড, বিভিন্ন ভিসেরাল অঙ্গ, ত্বক, চোখ, মাংস ইত্যাদিতে ও রোগের সৃষ্টি হয়। এ সমস্ত ক্ষতস্থানে প্রধানত লিম্ফোব্লাষ্ট এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের লিম্ফোসাইট এবং কখন ও কখন ও প্লাজমা কোষের অনুপ্রবেশ ঘটে।

১৯০৭ সালে মারেক নামক জনৈক বিজ্ঞানী হাঙ্গেরীতে এ রোগ আবিস্কার করেন। তারপর হতে এটাকে এভিয়ান লিউকোসিস গ্র“পের রোগের সাথে বর্ণনা করে হয়ে আসছে। অবশেষে ১৯৬৪ সালে একে পৃথক সত্তা হিসাবে চিহিৃত করে নামকরণ করা হয় মারেকস রোগ।

রোগের বিস্তার: প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবেই এ রোগের ভাইরাস সুস্থ মুরগিকে আক্রান্ত করতে পারে। বাতাসের সাহায্যে সহজেই এ ভাইরাস এক স্থান হতে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে। রোগাক্রান্ত মুরগির ঘরের ধুলাতে এ ভাইরাস কয়েক সপ্তাহ জীবিত থেকে রোগ বিস্তার করতে পারে। আক্রান্ত মুরগির বিষ্ঠা ও লিটারে স্বাভাবিক তাপমাএায় এ ভাইরাস জীবিত থাকতে সক্ষম। কীট পতঙ্গের মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।

এপিডিমিওলজি: পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই উন্নত জাতের মুরগিতে এ রোগ পাওয়া যায়। আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতি বৎসর বহু মুরগি এ রোগে মারা যায় এবং কোটি কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে মুরগিতেই এ রোগ বেশি হয়। তবে হাঁস, কবুতর, কেনারী ও কোয়েল পাখিতে এ রোগ হতে দেখা গেছে। প্রকৃতিতে মুরগি প্রায় ৩ সপ্তাহ বয়সের সময় ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং ২-৫ মাসের মধ্যে তাদের দেহে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা: খামারের পরিবেশ সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে সুস্থদের থেকে অতি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। বয়স্ক মুরগি থেকে ছোট বাচ্চাকে স্বতন্ত্রভাবে লালন-পালন করতে হবে। খামারের জৈবনিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করতে হবে। বহিরাগত কোন ব্যত্তিকে খামারে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। খামারে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ও মুরগির পালকের সাহায্যে ভাইরাস এক শেড থেকে অন্য শেডে, এমনকি এক খামার থেকে অন্য খামারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ব্যবস্থা প্রতিরোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভ্যাকসিন প্রয়োগ: মারেক্স রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন প্রদানই একমাএ সর্বাপেক্ষা কার্যকর ব্যবস্থা।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৯ডিসেম্বর২০২০