১/ ঠান্ডা,অত্যাধিক জ্বর কাশি ও সর্দিতে মুমুর্ষু নিস্তেজ হয়ে যায় মুরগী,মুরগী হা করে নিঃশ্বাস নেয়।
২/ বিষন্ন মনমরা,মন্দা অবস্থাতে ঝিমুনি দেখা যায়।
৩/ মেঝেতে মাথা লাগিয়ে দেয়।গা ফুলে থাকে এবং ডানা ঝুলে যেতে দেখা যায়।
৪/ ডায়রিয়া ও এর সাথে অধিক চুনা পায়খানা করে।খাদ্য গ্রহনে অরুচি থাকে ফলে দ্রুত দূর্বল হয়ে যায়।
গামবোরো রোগের ভাইরাস দুই ভাবে পাওয়া যায়:-
১/ কোন লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ করে সূত্রপাত হয়।
২/ দুই বা তিনদিন হতে মুরগীর লক্ষণ প্রকাশ হয়ে প্রাদুর্ভাব হতে পারে।
ব্যাপক মর্টালিটি হয়।সর্বোচ্চ ৯০% পর্যন্ত মর্টালিটি হতে পারে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগবিধি
গামবোরো ভেকসিনের সঠিক প্রয়োগ পন্থা হল পানির মাধ্যমে দেওয়া যেন এটি সরাসরি digestive ট্র্যাকে গিয়ে ভাইরাসের সাথে বিক্রিয়া শুরু করতে পারে।তবে রোগ দেখা দেয়ার আগেই ভ্যাকসিনেশন না করালে ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়া কঠিন।
গামবোরার জন্য প্রতিবার শেডে দুটি টিকা দেয়া উত্তম।
প্রথমটি ৫-৮ দিনের ভিতরে।(যদি ১ দিনের বাচ্চায় টিকা করানো থাকে।)
দ্বিতীয়টি ১১-১৪ দিনের ভিতরে।
খামারে ১০০০ মুরগী থাকলে অন্তত ১২০০ টিকা কাভার করে যে ডোজ সেটি দেয়া উত্তম।অল্প টাকা বাঁচাতে গিয়ে বিপদ সৃষ্টি করবেন না।
শেড হতে চালান বের হবার পর কমপক্ষে ১৫ দিন শেড খালি রাখবেন নতুবা রাণীক্ষেত,গামবোরা,রক্ত আমাশয়ের প্রাদুর্ভাব হতে পারে।
গামবোরা যদি আটকাতে পারেন তাহলে রাণীক্ষেত আসার সম্ভাবনা কম থাকে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪ডিসেম্বর২০২০