আক্রান্ত হওয়ার বয়সঃ যেকোন বয়সে আক্রান্ত হতে পারে ।
যেভাবে এই রোগ ছড়ায়ঃ
বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস এক ফার্ম থেকে অন্য ফার্মে ছড়ায় ।
আক্রান্ত মুরগির লালা, পায়খানা ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায় ।
ব্রিডার ফার্মে আক্রান্ত মুরগি হতে বাচ্চার দেহে আসতে পারে ।
রোগের লক্ষণঃ
মৃত্যু হারঃ বাচ্চাঃ ০-৯০%, বড়ঃ ০-৫%
শ্বাস কষ্ট হয় ও মুখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে, শো শো শব্দ, চোখ মুখ ফুলে যায়।
চোখের ঝিল্লি ফুলে যায়, ফুসফুসে প্রদাহ হয় ।
ডিমপাড়া মুরগি খোসা পাতলা,অমসৃন বা উচুনিচু ডিম পাড়ে।
অনেক সময় কুসুমবিহীন ডিম পাড়ে, এক পর্যায়ে কমতে কমতে ডিমপাড়া বন্ধ হয়ে যায়।
ময়না তদন্তঃ
৪ – ৫ দিনের মাথায় বুকের মাংস লাল, কিডনী ২ – ৩ গুন বড়, চামড়ার নিচে সাদা পদার্থ জমে ।
আক্রান্ত পাখির শ্বাসনালীতে প্রচুর শ্লেষ্মা জমেও মৃদু রক্তক্ষরন দেখা দেয়।
শ্বাসনালীর নীচের অংশে পণিরদানার ন্যয় প্লাক জমবে।
বায়ুথলি ঘোলাটে হয়ে যায় ও পেরিটোনাইটিস হয়।
অস্বাভাবিক আকারের ওভারিয়ান ফলিকুল দেখা যাবে ।
চিকিৎসাঃ
রোগের লক্ষণ দেখামাত্রই নিকটস্থ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের শরণাপন্ন হতে হবে, নিজে নিজে চিকিৎসা করা থেকে বিরত থাকুন ।
প্রতিরোধঃ
মুরগিকে নিয়মিত টিকা দিন ।
আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে ফেলুন ।
বায়োসিকিউরিটির ব্যপারে সতর্ক থাকুন ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৪জানুয়ারি২০২১