আমাদের দেশের ৯৯.৯৯% খামারী মৃত মুরগী খামারের আশে পাশে ফেলে দেয় যা থেকে বিভিন্ন রোগ জীবানু পার্শ্ববর্তী খামার এমনকি নিজের খামারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আসলে রোগের বিস্তার রোধ করার জন্য মৃত মুরগী সঠিক পদ্ধতিতে ডিসপোজ করার বিকল্প নেই।
মৃত মুরগী থেকে যে সকল রোগ ছড়াতে পারেঃ
১.রানীক্ষেত
২. গামবোরো
৩. কলিব্যাসিলোসিস
৪. এস্পারজিলোসিস
৫. ইনফেকসিয়াস ব্রঙ্কাইটিস
৬. ইনফেকসিয়াস কোরাইজা
৭. ফাউল পক্স
৮. আইএলটি
৯. মারেক্স
১০. ন্যাকরোটিক এন্টারাইটিস
১১. কক্সিডিওসিস
১২. রিও ভাইরাল ইনফেকশন
১৩. এআরটি
১৪. প্যারাসাইটিক ইনফেকশন
১৫. এইচপিএআই এবং এলপিএআই ইত্যাদি
তাই খামারে মুরগী মারা গেলে তা আশে পাশে ফেলে না দিয়ে খামার থেকে দুরে মাটিতে পুতে রাখুন।
মৃত মুরগী মাটিতে পুতে রাখার পদ্ধতিঃ
১. খামার থেকে দুরে নূন্যতম ৩ ফুট গভীর করে গর্ত করতে হবে।
২. মৃত মুরগী সেই গর্তে ফেলে চুন ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩. এরপর এমন ভাবে মাটি চাপা দিতে হবে যেন ভিতরে পানি না যেতে পারে।
৪. গর্তের উপর কাঁটা যুক্ত ডাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
(মৃত মুরগী সঠিক ভাবে ডিসপোজ করার পদ্ধতি আরো ব্যাপক। তবে এখানে সবচেয়ে সহজ ভাবে পদ্ধতিটি বর্ননা করা হলো।)
৫.মৃত মুরগী’কে দূরবর্তী স্থানে নিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলতেও পারেন।
নোটঃগামবোরা ভ্যাক্সিনেশন না করা খারাপ।মাত্র একটি ডোজ যারা দেন সেটা খুব খারাপ।
★৮-১১ দিনে প্রথম ভ্যাক্সিনেশন করান
★১৪-১৭ দিনে দ্বিতীয় ডোজ করিয়ে নিন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৩জানুয়ারি২০২১