গ্রীষ্মকালে মুরগি ও পশু পালনে সমস্যা ও তার প্রতিকার

453

গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ গরমকালে মুরগি ও পশু পালনে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। এই সমস্যার প্রতিকার নিচে তুলে ধরা হলো-

মুরগির পালনে যেসব সমস্যা দেখা দেয় তাহলো খাদ্য গ্রহণ, ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধির হার, লেয়ার ও ব্রিডারের ডিম উৎপাদনসহ ডিমের খোসার গুণগতমান কমে যায়।

খামারে মুরগি মারা যাওয়ার হার বেড়ে যায়। সে কারণে ব্রুডার হাউসের শেডে বাচ্চা তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও গ্লুকোজ খাওয়াতে হবে।

আর লেয়ার হাউস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শেডের চাল বা ছাদে তাপ বিকিরণ করতে পারে এমন সাদা, অ্যালুমিনিয়িাম রঙ দেয়া প্রয়োজন।

অতিরিক্ত গরমে পাইপ বা ঝরনার মাধ্যমে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র খামারের ক্ষেত্রে চালের ওপরে পাটের চট দিয়ে পানি ছিটাতে হবে। প্রচন্ড গরমে খাবারের পানির সঙ্গে বরফ মেশানো দরকার।

হাঁস মুরগির রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়া জরুরি। সেজন্য মুরগির রানীক্ষেত, ব্রংকাইটিস, ফাউলপক্ষ, ফাউল কলেরা, ম্যারেক্স এবং হাঁসের প্লেগ ও কলেরা রোগের টিকা দেয়ার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গোখাদ্যের জন্য নেপিয়ার, বাজরা, প্যারা, ভুট্টা, ইপিল ইপিল এর চাষ করার ভালো সময় এখন। বাড়ির আশপাশে, পুকুর পাড়ে, রাস্তার ধারে, পতিত জায়গায় গোখাদ্যের চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।

গ্রীষ্মের তাপদাহে গবাদি পশুর জন্য অতিরিক্ত খাবার, বিশ্রাম, ঘরে আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা, বেশি পানি খাওয়ানোসহ অন্যান্য কার্যক্রম সঠিকভাবে করতে হবে।

এ সময় গবাদি পশুর তড়কা ও গলাফুলা রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য টিকা প্রদানসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রিয় খামারি মনে রাখতে হবে মুরগি,পশু বা প্রাণিসম্পদের অন্যান্য যে প্রাণির কথাই বলি না কেন সবার জন্যে দরকার সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা।

তাই গরমকালে মুরগি, পশু পালনে সমস্যা ও তার প্রতিকার জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারলে মিলবে সফলতা। কেননা আমাদের খামারিরা সাধারণত রোগবালাইয়ের কারণেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪ফেব্রুয়ারি২০২১