বেড়ছে ফার্মের মুরগির দাম

670

দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘসময় লকডাউন চলার সময় সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সব ধরনের মুরগির দাম ছিল নিম্নগামী। গত দেড় মাসে মুরগির দাম বেড়েছে ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত। মুরগির বিভিন্ন জাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম।

জানা যায়, দেশে করোনা পরবর্তী সময়ে বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের বাড়তি চাহিদা ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মুরগির দাম বেড়েছে। বাজারে সয়াবিনের দাম বাড়ার ফলে পোল্ট্রি খাদ্যের প্রধান কাঁচামাল সয়ামিলের দাম কেজিতে ১৩-১৫ টাকা বেড়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়ার কারণে মুরগির বেড়ে ওঠার হার কমে যাওয়া এবং বাচ্চার উৎপাদন কম হওয়াকেও কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। গরুর মাংসের দাম বাড়ার কারণেও মুরগির ওপর বাড়তি চাহিদা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, আগে শুধু শুক্রবার ও শনিবার মুরগির চাহিদা বাড়ত, এখন প্রতিদিনই বাড়তি চাপ। বন্ধের দিন এ চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। মাঝখানে ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরায় ১৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এখন অবশ্য ৫-১০ টাকা কমেছে, কিন্তু এর পরেও অন্য বছরের চেয়ে অনেকটাই বেশি।

রাজধানীর মুগদা, মালিবাগ, বসুন্ধরা গেট কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়ালার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫৫ টাকা কেজিতে। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি।

যেখানে এক মাস আগেও ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যেত ১৩০-১৪০ টাকা কেজিতে। জানুয়ারির মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১২০-১৩০ টাকা। মাসখানেক আগে সোনালি মুরগি পাওয়া যেত ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। এর আগে ছিল ২২০-২৩০ টাকা প্রতি কেজি।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ এবং পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ সূত্রে জানা যায়, খামার থেকে সব ধরনের মুরগি ডিলারের হাত ঘুরে পাইকারি বাজার কিংবা সরাসরি বড় বাজারের খুচরা দোকানে চলে আসে। গতকাল ঢাকার আশপাশের খামারগুলোতে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১২৩-১২৫ টাকা কেজি। মাসখানেক আগেও ছিল ১১৫-১২০ টাকা কেজি। ১৫ জানুয়ারি খামারগুলোতে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা কেজি। খামার পর্যায়ে দেড় মাসে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোহসীন বলেন, এবার করোনার কারণে আটকে থাকা অনুষ্ঠানগুলো একযোগে শুরু হওয়ায় মুরগির চাহিদা বেড়েছে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া শীতের সময় আবহাওয়ার কারণে মুরগির গড় ওজনও কম বেড়েছে। সব মিলিয়ে বাড়তি চাহিদা, জোগানে ঘাটতি এবং উৎপাদন খরচ বাড়ায় মুরগির দাম বেড়েছে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১১মার্চ২০২১