চিকিৎসকরা গরু বা খাসির মাংস থেকে দূরে থাকতে বলেন। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকতে হয় মুরগির দিকে। কিন্তু প্রতিদিন এতো মুরগি পাওয়াও মুশকিল। তাই কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন বাড়িয়ে বাজারে বিক্রি করা হয় ‘ব্রয়লার মুরগি’। এদিকে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে উঠে এসেছে ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক। মানুষ তবে খাবে কী?
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি ও ডি থাকে। আর এসবের জন্য ব্রয়লার মুরগিকে কম সময়ে মোটা করার জন্য সিনথেটিক হরমোন দেওয়া হয়। যা মানুষের প্রজনন ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটায়। শুধু তা-ই নয়, ব্রয়লার মুরগি রান্না করার সময় তাপমাত্রা বেশি রাখতে হয়, যা কারসিনোজেনিক নামে এক পদার্থ তৈরি করে। এই পদার্থ মানব শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে।
সূত্র জানায়, ব্রয়লার মুরগি যাতে সুস্থ থাকে, সে জন্য তাদের শরীরে আর্সেনিক প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু এই রাসায়নিক পদার্থ মানব শরীরের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। যার ফলে ডায়াবেটিস, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ও ক্যান্সার হতে পারে।
ব্রয়লার মুরগিতে ফাইবার খুবই কম থাকে, কিন্তু ক্যালোরি থাকে প্রচুর পরিমাণে। যে কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব থাকায় মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কমে যায়।
এসব মুরগিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় মানুষের ব্রেনের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এর ফলে নিউরোলজিক্যাল সমস্যাও হতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে- শুধু খাওয়ার জন্যই এ ধরনের মুরগি বড় করা হয়। এরা ডিম পাড়ে না। ১০-১২ সপ্তাহের মধ্যেই এরা বেড়ে ওঠে এবং বিক্রি করে দেওয়া হয় পোলট্রি বাজারে। তাহলে এই মুরগি আসলে কতটাই স্বাস্থ্যসম্মত হতে পারে?
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৪মার্চ২০২১