সাতক্ষীরায় হলুদ চাষে লাভবান হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় হলুদ চাষে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে দাম ভালো পেয়ে লাভবান হয়েছেন চাষিরা।
জানা যায়, সঠিক নিয়ম মেনে চাষ ও পরিচর্যা করায় হলুদের বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ জেলার উৎপাদিত চাহিদা মিটিয়ে হলুদ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়িরা হলুদ কিনতে আসেন সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাট-বাজারে। বর্তমানে হলুদ থেকে গুড়া উৎপাদন করতে কয়েক হাজার শ্রমিক এ পেশায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।
জেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় মোট ৫৭৮ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সদর উপজেলায় ১২০, কলারোয়ায় ৯০, তালায় ২৮৬, দেবহাটায় ১৫, কালীগঞ্জে ১০০, আশাশুনিতে ১৫ ও শ্যামনগরে ৪৩ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষের কথা ছিল। তবে এবারের মৌসুমে জেলায় হলুদ চাষ লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় হলুদ চাষিরা বলেন, সমন্বিত চাষের মাধ্যমে একই জমিতে হলুদের সাথে কয়েক ধরণের সবজির চাষ করা যায়। ফলে তদারকি সহ হলুদ চাষে খরচ অনেক কম। সরজমিনে দেখা যায়, চাষীরা হলুদের সাথে একই জমিতে ঝাল গাছ, বেগুন চাষ, মেটে আলু, ওলের চাকি চাষ করছে। দেখা যায়, হলুদের সাথে সাথে একই সাথে এ সকল ফসল অতিদ্রুত ফলানো যায়।
সাতক্ষীরা জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরায় প্রতি হেক্টরে ১৫-১৬ টন পর্যন্ত হলুদ উৎপাদন হয়। কিন্তু উপকূলীয় জেলা হওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে এখানকার জমিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৬মার্চ২০২১