গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম উৎস হতে পারে হাঁস-মুরগি। তাই প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। বর্ষাকালের আগেই এ প্রাণিসম্পদের যত্ন নিতে প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। আসুন জেনে নেই হাঁস-মুরগির যত্ন নেওয়ার কৌশল সম্পর্কে-
১. এ সময়ে প্রাণিচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন দিতে হবে।
২. বাজারে রাণীক্ষেতের জন্য নবিলিস এনডি ল্যাসুটা, এনডিএলএস, সিভেক নিউ এল, আইজোভ্যাক এনডি কিল্ড, নিউক্যাভাক, ইমোপেস্ট, নিউক্যাসেল ল্যাসুটা ওষুধ রয়েছে।
এছাড়া গামবোরো রোগে নবিলিস ২২৮, সিভেক গামবো এল, আইজোভ্যাক গামবো-২ রয়েছে। আর বসন্ত রোগে সিভেক এফপিএল, নবিলিস, ওভোড্রিপথেরিন পাওয়া যায়।
৩. হাঁস-মুরগির কৃমির জন্য ওষুধ খাওয়ানো, ককসিডিয়া রোগ হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জরুরিভাবে অন্যান্য প্রতিষেধক টিকা দিয়ে দিতে হবে।
৪. মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা ফোটানোর কাজটি ভরা বর্ষার আগেই সেরে ফেলতে হবে।
৫. বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুর আবাসস্থল পরিপাটি করে পুনসংস্কার, আশপাশ পরিষ্কার করা, জমে থাকা পানির দ্রুত নিকাশের ব্যবস্থা, বর্ষার নিয়মিত এবং পরিমিত গো-খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য কাজ সঠিকভাবে করতে হবে।
৬. গবাদি পশুর গলাফোলা, ডায়রিয়া, ক্ষুরারোগ, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগের টিকা দেওয়াসহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৯ এপ্রিল ২০২১